সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

ইসলামের দৃষ্টিতে বিজয় দিবসে করণীয়!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতী মাহমুদ হাসান।।।

আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরব ও অহংকারের দিন। লাখ লাখ বীর মুক্তিযোদ্ধার রক্তস্রোত, স্বামী-সন্তানহারা নারীর অশ্রুধারা, দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী আর বীরাঙ্গনাদের সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে অর্জিত হয়েছিল মহান এই বিজয়। মহান আল্লাহ তায়ালা ৪৯ বছর আগে এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় বাঙালি জাতিকে দিয়েছিল আত্মপরিচয়ের ঠিকানা।

দেশপ্রেম ও মাতৃভূমির প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা হচ্ছে ইসলামসম্মত বিশেষ সহজাত গুণ। সুতরাং দেশের বিজয় দিবস আমাদের গৌরব, অহংকার।

দেশপ্রেমের অন্যতম বহিঃপ্রকাশ হলো, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করা। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘আল্লাহর পথে এক দিন ও এক রাত সীমান্ত পাহারা দেওয়া এক মাস পর্যন্ত সিয়াম পালন ও এক মাস ধরে রাতে সালাত আদায়ের চেয়ে বেশি কল্যাণকর। যদি এ অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে যে কাজ সে করে যাচ্ছিল, মৃত্যুর পরও তা তার জন্য অব্যাহত থাকবে, তার রিজিক অব্যাহত থাকবে, কবর-হাশরের ফিতনা থেকে সে নিরাপদ থাকবে। ’ (মুসলিম, ১৯১৩)

বিজয় দিবস কীভাবে পালন করা কর্তব্য?

রাষ্ট্রের বিজয় উপলক্ষে আমাদের কর্তব্য, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা এবং অধিক পরিমানে তাসবীহ ও ইস্তিগফার পাঠ করা। কারণ এ বিজয় নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য বলে নয় বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ সাহায্যেই সম্ভব হয়েছে।

বিজয় সম্পর্কে কুরআনের দু’টি সুরা আমাদের সামনে রয়েছে। একটি সুরাহ ফাতহ (বিজয়) এবং অপরটি সুরাহ নাসর (সাহায্য)। সুরা নাসর-এ মহান আল্লাহ বলেন,إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّـهِ وَالْفَتْحُ – وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّـهِ أَفْوَاجًا – فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ ۚ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا “যখন আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও বিজয় আসবে এবং দলে দলে লোকদেরকে ইসলামে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন স্বীয় পরওয়ারদেগারের প্রশংসার সাথে তাসবীহ পড়ুন এবং আল্লাহর নিকট ইস্তিগফার করুন।

বিজয় দিবসে আমরা নিচের কাজগুলো করতে পারি:

১. এই দিনে বিজয়ের জন্য আল্লাহর মহ্ত্ত্ব, পবিত্রতা ও বড়ত্ব বর্ণনা করা। ২. আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। ৩. মহান আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে আত্মনিবেদন ও ইস্তিগফার করা। ৪.কুরআন তিলাওয়াত করে ৫. এবং দান-খাইরাত করে তার ছাওয়াব দেশের স্বাধীনতার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, সেই শহীদ ভাই-বোনগণের রূহে রেসানী করতে পারি। তাদের জন্য দু‘আ করতে পারি।

বিজয় দিবস পালনের নামে অনুষ্ঠিত বাদ্য ও নাচগানের অনুষ্ঠান, যুবক-যুবতীদের নিয়ে উত্তাল কনসার্ট, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা এবং সবধরণের অপসংস্কৃতি চর্চা থেকে ও শিরকী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সৎ ও আদর্শ নাগরিক, দেশ প্রেমিক এবং দেশের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কবুল করুক।

লেখক: সিনিয়র শিক্ষক: মাদ্রাসাতুল জান্নাহ ঢাকা।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ