মুযযাম্মিল হক উমায়ের।। হজরত শাহ ইসহাক সাহেব মুহাদ্দেসে দেহলাবী রাহিমাহুল্লাহু তায়ালার ঘটনা। হজরত মাওলানা খান সাহেব রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, হজরতের প্রচন্ড রকমের অশ^র্রোগ ছিলো। এই কারণে হজরতের অনেক কষ্ট হতো। একজন উক্ত রোগের আমল হজরতকে জানালো। সে বললো, হজরত! আপনি প্রতিদিন ফজরের নামাজের দুই রাকাত সুন্নত সুরা ‘আলাম নাশরাহ ও সুরা কুরাইশ’ দিয়ে পড়বেন।
কিন্তু হজরত এই আমল পছন্দ করেননি। হজরত মাওলানা মুজাফফার হুসাইন রাহিমাহুল্লাহু তায়ালা ও হজরত নওয়াব কুতুবুদ্দীন রাহিমাহুল্লাহু তায়ালাসহ আরো অনেকেই হজরতকে উক্ত আমল করার জন্যে জোর তাগিদ দিয়ে বলেন, হজরত! আপনি উক্ত আমলটি অবশ্যই করবেন। এতে অনেক উপকার হতে পারে।
তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষাপটে হজরত বলেন, দেখুন! একেতো আমি আমলই করি না। যা অল্পস্বল্প করি সেগুলিও টোটা—ফাঁটা। শুধু দায়িত্ব আদায় হিসাবে ফরজ ও সুন্নত পালন করি।
এই অল্পস্বল্প আমলের মধ্যে যদি কেরাতের সুন্নত বাদ দিয়ে মনের চাহিদা পূর্ণ করে দুনিয়ার উদ্দেশ্য হাসিল করতে লেগে যাই— তাহলে তো পুরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবো। আর ইবাদতকে দুনিয়ার কাজ বানিয়ে ফেলা ভালো কাজ নয়। এখানে তিনি নিজে বড় বুজুর্গ ও ইবাদতগুজার হওয়া সত্ত্বেও বিনয় প্রকাশ করেছেন।
সূত্র: আরওয়াহে ছালাছা
-এটি