আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চলতি মাসেই রাজধানীতে চালু হচ্ছে স্বপ্নের মেট্রোরেল। রাজধানীবাসীর জন্য যা একেবারেই নতুন। এ কথা মাথায় রেখেই এমআরটি-৬ এর উত্তরা ডিপো এলাকায় মেট্রোরেল এক্সিবিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টার (এমইআইসি) নির্মাণ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে এমইআইসি পরির্দশন করে প্ল্যাটফর্মে ওঠা, টিকিট সংগ্রহ এবং যাতায়াত সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা নিতে পারবেন যাত্রীরা।
প্রথমদিকে ১০টি ট্রেন দিয়ে রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হচ্ছে মেট্রোরেল। উদ্বোধনের পর দুই ধরনের টিকিট কেটে মেট্রোরেলে চলাচল করা যাবে।
প্রথমত, সিঙ্গেল জার্নির টিকিট স্টেশনের কাউন্টার বা টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে কেনা যাবে। এটি প্রতিবার যাত্রার আগে কিনতে হবে এবং যাত্রা শেষে স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় দরজায় জমা দিতে হবে। তা না হলে দরজা খুলবে না, যাত্রীও স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন না।
দ্বিতীয়ত, এমআরটি পাস বা পারমানেন্ট জার্নির টিকিট। যা স্টেশনের কাউন্টার থেকে দেওয়া হবে। এটি রিচার্জ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরবর্তী সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের মাধ্যমেও রিচার্জ করা যাবে। এ ধরনের টিকিট স্টেশনে জমা দিতে হবে না যাত্রীদের।
এই দুই ধরনের টিকিটই পাওয়া যাবে মেট্রোরেলের সব স্টেশনে। টিকিট কাউন্টারের কর্মী এবং টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে টিকিট কেনা যাবে।
মেশিন থেকে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে প্রথমে মনিটরে বাংলা অথবা ইংরেজি ভাষা অপশন বেছে নিতে হবে যাত্রীদের। এরপর টিকিটের ধরন অর্থাৎ সিঙ্গেল নাকি পারমানেন্ট জার্নির জন্য, সেই অপশন নির্বাচন করতে হবে।
তারপর যাত্রীদের কোন স্টেশনে কত ভাড়া, সেই তালিকা দেওয়া হবে। এ তালিকা থেকে নিজ নিজ গন্তব্যের স্টেশন নির্ধারণ করতে পারবেন। এরপর জাত্রীর কয়টি টিকিট লাগবে, তা জানতে চাওয়া হবে। এক ব্যক্তি সিঙ্গেল জার্নির ক্ষেত্রে একসঙ্গে পাঁচটির বেশি টিকিট পাবেন না। সবশেষ ধাপে যাত্রীকে ওকে বাটন নির্বাচন করে টাকা পরিশোধ করতে হবে। মেশিন টাকা দিলেই টিকিট বের হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা দেওয়া যাবে।
এছাড়া দিয়াবাড়ির মেট্রোরেল এক্সিবিশন ইনফরমেশন সেন্টার (এমইআইসি) থেকে মেট্রোরেলের বিষয়ে জনসাধারণকে তথ্য দেওয়া হবে।
-এসআর