সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
চিকিৎসকরা বছরে দুইবারের বেশি বিদেশ যেতে পারবেন না ঢাকা থেকে ভাঙ্গা হয়ে খুলনায় গেলো পরীক্ষামূলক ট্রেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা: প্রেস উইং ধর্মীয় মূল্যবোধ ও সাম্যের ভিত্তিতে সংবিধান রচনার আহ্বান নেপালে ফের কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে সৌদি আগামীকাল সংবিধান সংস্কার কমিশনে প্রস্তাবনা পেশ করবে ইসলামী আন্দোলন ‘আল্লামা আতহার আলী রহ. জীবন, কর্ম, অবদান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন আগামীকাল হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কী রহ. : কে এই মহান ব্যক্তি হাজিদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : ধর্ম উপদেষ্টা মহানবীকে সা. নিয়ে কটূক্তি করলে সংবিধানে শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব পার্থের

পৃথিবীর বয়স যত বাড়ছে, কেয়ামত ততই নিকটবর্তী হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হামযাহ আল মাহদী ।।

কিয়ামত অবশ্যই সংঘটিত হবে। আর এর আলামত বা চিহ্ন প্রতিনিয়ত প্রকাশ পেয়ে আসছে। পৃথিবীর বয়স যত বাড়ছে, কেয়ামত ততই নিকটবর্তী হচ্ছে। রাসুলুল্লাহ সা. হাদিসের মাধ্যমে আমাদের কাছে কেয়ামতের অনেক নিদর্শনের কথা বর্ণনা করে গেছেন। তারমধ্যে বেশ কিছু নিদর্শন ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত হয়ে গেছে বা হচ্ছে। যেগুলো এখনো প্রকাশ হয়নি আজ কথা বলবো সে সব আলামত নিয়ে।

১। হারামে লিপ্ত হও, নয় বিদায় হও! ২। আরব উপদ্বীপ সবুজ শ্যামল পরিবেশ এবং নদীনালায় পূর্ণ। ৩। "আহলাছ" এর ফেতনা প্রকাশ। ৪। সচ্ছলতার ফেতনা প্রকাশ। ৫। অন্ধকার ফেতনার আবিরর্ভাব। ৬। একটি মাত্র সেজদ করা দুনিয়া অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতা লাভ। ৭। চন্দ্র স্ফীতি। ৮। এমন কালের আগামন যে, সকল মুসলমান শামে হিজরত করবে।

৯। মুসলমান এবং রোমানদের (খৃষ্টান) মধ্যে বৃহত্তম যুদ্ধ। ১০। মুসলমান্দের কনষ্ট্যান্টিনোপল অর্থাৎ বর্তমান তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুল বিজয়। যা ইসলামের প্রাথমিক যুগে সেনাপতি মুহাম্মাদ আল ফাতেহ'র নিতৃ্ত্বে বিজয় হয়েছিলো। তা শেষ জামানায় ইমাম মাহদীর হাতে পূণরয় বিজয় হবে।

কেয়ামতের ক্ষুদ্রতম নিদর্শন থেকে একটি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা

৩। চন্দ্র বিদারণ। আল্লাহ তালা বলেন, “কেয়ামত আসন্ন, চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। তারা যদি কোন নিদর্শন দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাগত জাদু।” (সূরা কামার ১-২)

হাফেয ইবনে কাছীর রহ. লিখেন, “সবলসূত্রে বর্ণিত একাধিক হাদিসে ঘটনাটি প্রমাণিত। সাহাবায়ে কেরাম এবং সকল ইমাম-উলামা এ ব্যাপারে একমত। ঘটনাটি নবী করীম সা.-এর অলৌকিক মু'জেযাসমূহের অন্যতম।”

ইবনে আব্বাস রা. বলেন, " একদা মক্কার মুশরেক সম্প্রদায় নবী করীম সা.-এর কাছে এসে বলতে লাগল, তুমি যদি সত্যবাদী হয়ে থাক, তবে আমাদের সামনে চন্দ্রকে দ্বিখণ্ডিত করে দেখাও!

একখণ্ড আবু কুবাইস পর্বতে, অপরখণ্ড কুআইকাআন পর্বতে নিয়ে আস! রাতটি ছিল পূর্ণিমার। মুশরেকদের কথা শুনে নবীজী আল্লাহর দরবারে দোয়া করতে লাগলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেল। একখণ্ড আবু কুবাইস পর্বতে, অপরখণ্ড কুআইকাআন পর্বতের ওপাশে গিয়ে পতিত হল । নবী করীম সা. আমাদেরকে লক্ষ্য করে বলছিলেন, “ভাল করে দেখে নাও!” (দালাইলুনুবুওয়াহ, আবু নুআইম)আনাছ বিন মালিক রা. বলেন, “মক্কাবাসী নবীজীর দাওয়াত সভ্যতা প্রমাণে কোন নিদর্শন দাবী করলে নবীজী চন্দ্র দ্বিখণ্ডিত করে দেখান" (বুখারী-৩৪৩৮/ মুসলিম- ৭২৫৪)

আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. বলেন, “একদা আমরা নবী করীম সা.-এর সাথে মিনা প্রান্তরে ছিলাম। হঠাৎ চন্দ্র দু'ভাগ হয়ে গেল । এক ভাগ পাহাড়ের পেছনে চলে গেল, দ্বিতীয়ভাগ অপরপাশের

পাহাড়ের পেছনে চলে গেল । নবী করীম সা. আমাদের লক্ষ করে বললেন, "ভাল করে দেখে নাও!” (বুখারী-৪৫৮৪/মুসলিম-৭২৫০)

সূত্র: মহাপ্রলয়, ড.মুহাম্মাদ ইবনে আরেফী।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ