হাটহাজারী প্রতিনিধি: ❝আজকে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা পর্যন্ত জান্নাত-জাহান্নাম চেনে না। মানুষকে দোয়ার মাধ্যমে জান্নাতের পরিবর্তে জাহান্নামে পাঠিয়ে দিচ্ছে। আমি বলতে চাই, জান্নাত-জাহান্নাম না চিনলে কিসের মুসলমান? আমাদের সন্তানের ইসলামী ভাবধারায় গড়ে তুলতে হবে। জন্মের পর দুই কানে আজান-ইকামত দিতে হবে। সুন্দর অর্থবহ নাম দিতে হবে।❞
আজ ২৫ নভেম্বর শুক্রবার হাটহাজারী পার্বতী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে বৃহত্তর চট্টলার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি ও সেবামূলক সংগঠন 'আল আমিন সংস্থা'র ব্যবস্থাপনায় ঐতিহাসিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিল সমাপনী দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহিয়া এসব কথা বলেন।
আল আমিন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা হাফেজ রিজওয়ান আরমানের ধারাবাহিক সঞ্চালনায় মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মীর কাসেম, মাওলানা ইয়াছিন, মাওলানা হাজী ইউছুফের ধারাবাহিক সভাপতিত্বে সমাপনী দিবসের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। আল্লামা ইয়াহইয়া আরও বলেন, মুসলমান কখনো আল্লাহু আকবর ধ্বনি দিতে ভয় করে না। মুসলমান আল্লাহ ব্যতীত কাউকে ভয় পায় না। কারণ একজন মুসলমানের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত 'আল্লাহু আকবর' বলতে হবে। মুসলমান কখনো মিথ্যা বলতে পারে না। জুলুম করতে পারে না। কারণ একদিন সবকিছুর বিচার হবে। জুলুম, অত্যাচার, জেনা-ব্যভিচারের বিচার হবে।
পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা কারী সাইদুল ইসলাম আসাদ।
তাফসীর মাহফিলে আরও আলোচনা করেন, ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান সিরাজী, মাওলানা মুফতি মুস্তাকুন নবী, মুফতী রাশেদুল ইসলাম, মাওলানা ইসমাইল খান, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রহমানী প্রমুখ। -এসআর