আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: চীনের বৃহত্তর শহর গুয়াংজু করোনা সংক্রমণ ফের বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের আওতায় আনা হয়েছে। অর্থনৈতিক উৎপাদন ও বাণিজ্যিক দিক থেকে দেশটির চতুর্থ বড় শহর গুয়াংজু গুয়াংডং প্রদেশের রাজধানী। একই সঙ্গে রাজধানী বেইজিংয়ের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আবারও অনলাইন ক্লাসে ফিরতে হচ্ছে শহরটির শিক্ষার্থীদের।
সোমবার (২১ নভেম্বর) জনবহুল জেলা বাইয়ুনে পাঁচ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। ব্যবসায়িক এই জেলার নাইটক্লাবসহ অন্যান্য সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। জনসমাগম এড়িয়ে বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গুয়াংজুতে ১ কোটি ৯০ লাখ মানুষের বসবাস।
জানা যায়, গুয়াংজুতে তো করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই। আরও বেশ কয়েকটি শহরে করোনা সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। রোববার এই শহরটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৬ হাজার ৮২৪ জন। করোনা আক্রান্তের এই সংখ্যা গত এপ্রিলে দৈনিক সংক্রমণের প্রায় কাছাকাছি।
গত মে মাসের পর রাজধানী বেইজিংয়ে গত শনিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬২ জন। ফলে স্থানীয়দের বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্কুলগুলোর ক্লাস অনলাইনেই হবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশ যখন বলছে করোনা মহামারি শেষের পথে তখন চীন জিরো কোভিড পলিসি বাস্তবায়নে লকডাউন, কয়েক দফায় করোনা টেস্ট, সীমান্ত নিষেধাজ্ঞাসহ নানা বিধিনিষেধ জারি রেখেছে।
এদিকে, চীনে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সোমবার এশিয়ার স্টক মার্কেটে দরপতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে তেলের দামও।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে করোনা। করোনায় মৃত্যু হয় বহু মানুষের। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় টিকা আবিষ্কারের ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা অনেকটাই সম্ভব হয়েছে। তবে চীনে আবারও চলতি বছরের অক্টোবর থেকে সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে অন্যরা লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশনের মতো বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করলেও চীন এখনও অব্যাহত রেখেছে। সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা
-এটি