আবদুল্লাহ তামিম।। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের শরয়ী উপদেষ্টা, করাচি বিশ্ববিদ্যালয় ও এনইডি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষদ সদস্য ও বেফাকুল মাদারিস (মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড)-এর সহসভাপতি, আরো বহু প্রতিষ্ঠানের অধিকর্তা বিশ্ববরেণ্য ইসলামিক স্কলার আল্লামা তাকি উসমানীর বড় ভাই পাকিস্তানের গ্র্যান্ড মুফতি রফি উসমানীর ইন্তেকালে শোক ও গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে বিশ্বের কওমি মাদরাসাগুলোর অভিভাবক, ভারতের ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম দেওবন্দ।
গতকাল শনিবার দারুল উলুম দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম, আল্লামা আবদুল খালেক মাদরাজি স্বাক্ষরিত একটি শোকবাণী মুফতি তাকি উসামানী বরাবর পাঠানো হয়।
শোক বাণীতে লেখা হয়, প্রিয় মাওলানা মুফতি মুহাম্মদ তাকী ওসমানি, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে খবর পাওয়া গেল যে, আপনার বড় ভাই, পাকিস্তানের গ্র্যান্ড মুফতি ও জামিয়া দারুল উলূম করাচির মুহতামিম, মুফতি মুহাম্মদ রফি উসমানি দীর্ঘ অসুস্থতার পর এ নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
আমরা এই দুঃখজনক সংবাদে, মুফতি সাহেবের ইন্তেকালে গভীরভাবে শোকাহত, আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক তার উপর। পরিবেশ শোকাবহ হয়ে ওঠেছে দারুল উলুম দেওবন্দের। আজ হযরত এর মাগফেরাতের জন্য দোয়ার আয়োজন করা হয়। হযরত মুফতি সাহেব একজন দ্বীনের গুরুগম্ভীর আলেম ছিলেন। অত্যন্ত পরিশীলিত ও সূক্ষ্ম মেজাজের অধিকারী ছিলেন। তার জ্ঞানের প্রতিফলন ঘটেছিল সকল ক্ষেত্রে। করাচির স্কুল, অফিস ভবনগুলির মধ্যে, মরহুম মুফতি সাহেবও বেফাকুল মাদারিসিল আল-আরাবিয়া পাকিস্তানের প্রধান ছিলেন।
তিনি পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান আলেম ছিলেন। হযরত মুফতি সাহেবের প্রাথমিক শিক্ষা দারুল উলূম দেওবন্দে শুরু হয়। তিনি একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেন, তার কলম থেকে এ পর্যন্ত অনেক কাজ বেরিয়েছে। জাতি অনেক কিছু পেয়েছেন। ফিকহে তার অবদান অনেক অনেক বেশি। আল্লাহ তার কবরকে জান্নাত বানিয়ে দিন। তার পরিবারকে সবরে জামিলের তাওফিক দান করুন। আমিন।
-এটি