আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাকিস্তানের মুফতিয়ে আজম, দারুল উলুম করাচির মুহতামিম, মুফতি শফী রহ. সাহেবজাদা মুফতি রফি উসমানির ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তানযীমুল মাদারিসিদ দ্বীনিয়া বাংলাদেশের সভাপতি ও মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বসুন্ধরা ঢাকার মহাপরিচালক মুফতি আরশাদ রাহমানী।
আজ শনিবার আওয়ার ইসলামে পাঠানো এক শোকবার্তায় মুফতি আরশাদ রাহমানী বলেন, মুফতি রফী উসমানী বিশ্ববরেণ্য একজন ফকীহ ছিলেন। আমার আব্বাজান ফকীহুল মিল্লাত মুফতী আব্দুর রহমান রহ এর সঙ্গে এই পরিবারের গভীর সম্পর্ক ছিলো। বিশেষত মুফতি তকি উসমানী ও মুফতি রফী উসমানী দু'জন আলমে ইসলামীর সম্পদ। আব্বাজান এই দেশে একাধিক সেমিনার ও কর্মাশালায় তাদের মেহমান করে এনেছেন। ইসলামি অর্থনীতির বিকাশে তাদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
মুফতি রফী উসমানী রহ. গতকাল শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ৯.২৫ মিনিটের দিকে পাকিস্তানের করাচিতে ইন্তিকাল করেন। পাকিস্তানের মেসেজ টিভি বিষয়টি নিশ্চিত করে।
মুফতি মুহাম্মদ রফি উসমানি জন্ম ১৯৩৬। পাকিস্তানের একজন প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব। তিনি পকিস্তানের প্রাক্তন গ্রান্ড মুফতি, পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম প্রথিকৃত, দারুল উলুম করাচীর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ শফী উসমানি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর সন্তান।
তিনি পাকিস্তানের গ্রান্ড মুফতি ও পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপিঠ দারুল উলুম করাচীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি বিখ্যাত দুই ইসলামী ব্যক্তিত্ব মুফতি মুহাম্মাদ তাকি উসমানি ও মাওলানা ওয়ালি রাজির ভাই। এছাড়াও তিনি জামিয়াতুল উলামা, ইউ এস এ -এর একজন সন্মানিত সদস্যও ছিলেন।
-এটি