আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজধানীর উত্তরার গাউসুল আজম জামে মসজিদে ফুযালায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৮টায় সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় ‘আবনায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ’দের উদ্দেশ্যে দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস মাওলানা আবুল কাসেম নোমানী কিছু নসিহত করেছেন।
এক. ইলমের উপর বসিরত ও ইয়াকিন থাকা ।
যে ইলম শিখছি তার মূল্য বোঝা। কনফিডেন্স রাখা। এ ব্যাপারে সন্দিহান হওয়া যাবে না। অনেকেই প্রফেশন চেইঞ্জ করে মনে করে, এ ইলমের পেছনে লম্বা সময় নষ্ট হয়েছে। তার থেকে এটাই ভালো। এমন মানসিকতা পুষে আহলুল ইলম হওয়া যায় না। দেওবন্দিয়তের হামেল হওয়া যায় না।
দুই. ইলমের উপর আমল করা ।
নিজে ইলম শিখলাম কিন্তু আমল করলাম না। অন্যকে উৎসাহিত করলাম কিন্তু নিজে বাস্তবায়ন করলাম না। এমনটা কাম্য নয়। ইলম অনুযায়ী নিজেকে গড়ে অন্যকেও গড়ার মানসিকতা রাখতে হবে।
তিন. আলেমদের চৌকান্য থাকা।
হাস্সাস রাখতে হবে। যাতে কোন বাতেল ফেতনা অনুপ্রবেশ করতে না পারে । যেমন- অযথা ছবি তোলার ফেতনা। কাদিয়ানিয়্যাতের ফেতনা। ইনকারে হাদিসের ফেতনা। আহলে হাদিসের ফেতনা। মওদুদিয়্যাতের ফেতনা।
উলামায়ে দেওবন্দের বিশেষ বৈশিষ্ট- তাদের হাস্সাস (অনুভূতি) শক্তি সঠিক হওয়া। যদি মখমলের কাপড়ে আচ্ছাদিত কিছু থাকে, সেটা কে দামি মনে করা যাবে না । কারণ, হয়ত আড়ালে পঁচা গন্ধ লাশও থাকতে পারে । বাহ্যিক সৌন্দর্যের ধোঁকায় পড়া যাবে না। বাতিল সর্বদা সুন্দর নামে, সুন্দর মোড়কে আত্মপ্রকাশ ঘটায়। পরবর্তীতে তার কুৎসা ছড়িয়ে পড়ে রন্ধ্রে রন্ধ্রে। তাই আলেমদের সতর্ক থাকতে হবে। এমন দেখলে তানকীদ করতে হবে। নিরব থাকা যাবে না। তবে অবশ্যই তানকীদ হতে হবে দলিল ভিত্তিক।
প্রত্যেক ব্যক্তি ফারেগ হয়েই মাদরাসা তৈরি করে ফেলবো না। বরং যেখানে প্রকৃতপক্ষে মাদ্রাসার প্রয়োজন আছে সেখানেই মাদরাসা তৈরি করবো। মসজিদগুলোতে "দরসে কোরআন ও দরসে হাদিসের" মজলিসের ব্যবস্থা করা উলামায়ে দেওবন্দের দায়িত্ব ও কর্তব্য ।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে কথাগুলোর উপর আমল করার তাওফিক দান করুক।
-এএ