আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ফেরেশতারা ৭ ব্যক্তির জন্য সব সময় দোয়া করতে থাকে। যারা নিয়মিত বিশেষ কিছু আমল করে থাকেন। যে আমলগুলোর কথা নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন। কী সেই আমলগুলো? আর এই ৭ ব্যক্তিই বা কারা?
হাদিসে পাকে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ’যারা অজু অবস্থায় ঘুমায়, নামাজের জন্য মসজিদে অপেক্ষায় থাকে, মসজিদে প্রথম কাতারে নামাজ আদায় করে, নবিজীর প্রতি দরূদ পড়ে, রোগীকে দেখতে যায়, মুসলিম ভাইয়ের জন্য তার পেছনে দোয়া করে, কল্যাণের কাজে দান করে; তাদের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করে। এই সাত ব্যক্তির সম্পর্কে হাদিসের বর্ণনাগুলো তুলে ধরা হলো-
১. অজু অবস্থায় ঘুমালে
ঘুম ক্লান্তি দূরকারী। ঘুমের জন্য রাতকে কলো আবরণে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি অজু করে ঘুমায় তবে ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। হাদিসে এসেছে- হজরত বারা ইবনে আজিব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বলেছেন- إِذَا أَتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأْ وُضُوءَكَ لِلصَّلَاةِ ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الْأَيْمَنِ
‘যখন তুমি তোমার শয্যা গ্রহণের ইচ্ছা করবে, তখন নামাজের ন্যায় অজু করে ডান কাত হয়ে শোবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অজু করে ঘুমানোর ফজিলত সম্পর্কে ইবনে হিব্বানের এক হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি পবিত্রাবস্থায় (অজু অবস্থায় ) ঘুমায় তার সঙ্গে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকে। এরপর সে ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফেরেশতাটি আল্লাহ্র সমীপে প্রার্থনায় বলে থাকে-
‘হে আল্লাহ্! তোমার অমুক বান্দাকে ক্ষমা করে দাও, কেননা সে পবিত্রাবস্থায় ঘুমিয়েছিল।’ (ইবনে হিব্বান)
-এটি