আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গোপালগঞ্জ জেলার সর্বস্তরের উলামায়ে কেরামের ঐক্যবদ্ধ অরাজনৈতিক সংগঠন ‘উলামা পরিষদ গোপালগঞ্জ’ গঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় মদিনাতুল উলুম নীলামাঠ মাদরাসায় উলামা সম্মেলনে সংগঠনটি গঠিত হয়।
জানা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় মদিনাতুল উলুম নীলামাঠ মাদরাসায় জেলার পাঁচটি থানা থেকে নির্বাচিত চার শতাধিক প্রতিনিধি উলামায়ে কেরামের এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ‘উলামা পরিষদ গোপালগঞ্জ’ গঠন করা হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিনকে প্রধান উপদেষ্টা, জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার মুহতামিম মুফতি মাহমুদুল হাসানকে সভাপতি এবং ইসলামপুর মাদরাসা ভবানীপুরের শিক্ষা পরিচালক মুফতী শুয়াইব ইবরাহীমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
মাওলানা ফখরুল আলমের যৌথ সঞ্চালনায় সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা নুরুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন যশোর রেলস্টেশন মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আনোয়ারুল করিম। এছাড়াও জেলার প্রবীন আলেমদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— মাওলানা কবিরুল ইসলাম, মাওলানা মনসুর আহমদ, মাওলানা লুৎফুর রহমান, হাফেজ মাওলানা ইসমাইল ইবরাহীম, মাওলানা মুহিবুল্লাহ, মাওলানা বেলায়েত হোসাইন, হাফেজ মুসা।
উলামা সম্মেলনে জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেমদের মধ্য থেকে উলামা পরিষদ গঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তব্য দেন— মাওলানা আলী আহমদ, মাওলানা কালিমুল্লাহ, মাওলানা মোতাহার উদ্দিন, মুফতি আনিসুর রহমান, মাওলানা নাসির আহমদ, মুফতি হাফিজুর রহমান, মাওলানা আবুল কালাম, মুফতি মাসউদুর রহমান, মাওলানা ইউনুছ আলী কাসেমী, মাওলানা জাহিদ আল মাহমুদ, মুফতি শিহাব উদ্দিন কাসেমী ও মাওলানা ইসমাইলসহ প্রমুখ উলামায়ে কেরাম।
বক্তাগণ বলেন, উলামায়ে কেরাম একতাবদ্ধ থাকা, জনগণের দ্বীন- ঈমান ও নীতি-নৈতিকতা রক্ষা করা, যেকোনো ধরনের অন্যায় ও বাতিল ফেরকার ষড়যন্ত্র থেকে সাধারণ মুসলমানের ঈমান হেফাজত করা এবং উলামায়ে কেরাম নবীগণের উত্তরাধিকারী হিসেবে তাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য সকলকে নিয়ে উলমা পরিষদ গঠন একান্ত প্রয়োজন ও সময়ের দাবি।
সাধারণ সম্পাদক মুফতী শুয়াইব ইবরাহীম বলেন, উলামা পরিষদ সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সেবামূলক একটি ধর্মীয় সংগঠন। এ সংগঠন জেলার উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধ রেখে সর্বস্তরের জনগণের মাঝে আমর বিল মারুফ, নাহি আনিল মুনকার ও খেদমতে খালক্ব তথা সৎকাজের প্রতি উৎসাহ প্রদান অন্যায় কাজের প্রতিবাদ ও বাধা প্রদান এবং নিঃস্বার্থ ভাবে জনগণের সেবা করে যাবে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি, নারীর প্রতি সহিংসতা ইত্যাকার সামাজিক অপরাধ থেকে সমাজকে মুক্ত করার জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা চালাবে।
সভাপতি মুফতি মাহমুদুল হাসান বলেন, আপনাদের চাপিয়ে দেওয়া এ গুরু দায়িত্ব পালন করার জন্য আমি আমার সাধ্য মোতাবেক চেষ্টা চালাবো। যেকোনো ধরনের পদের মোহ থেকে সকলকে উর্ধ্বে থেকে আন্তরিকভাবে সকলে সহযোগিতা করলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমরা আমাদের জেলায় একটি সুন্দর দ্বীনি পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।
সম্মেলনে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ছিলেন, মাওলানা নাসিম আহমদ মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, হাফেজ কাজী ফয়েজ আহমদ, মাওলানা মাহমুদুল হাসান শামীম, মাওলানা আব্দুল হাই, মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, মুফতি যোবায়ের আহমদ, মাওলানা আব্দুল করিম, মুফতি ইমরান হোসাইন, মাওলানা সৈয়দ আলী হায়দার, মাওলানা হাবিবুর রহমান, হাফেজ ফরহাদ হোসাইন, মুফতী ইমরান হোসাইন, মুফতি মুহিব্বুল হক, মাওলানা ওমর ফারুক, মুফতি গাউছুর রহমান, মাওলানা জামাল উদ্দিন, মুফতি আহমদ আবু ওবায়দা, মুফতি আব্দুস সামাদ, মাওলানা রবিউল ইসলাম, মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
-এএ