আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশর ৭৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ইজতেমা আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত আখেরি মুনাজাতে আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন মুসল্লিরা।
মুনাজাত পরিচালনা করেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম, আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুফতি মাওলানা রশীদুর রহমান ফারুক বর্ণভী।
এ সময় ‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় অর্ধ লক্ষাধিক মুসল্লি আকুতি জানান। মুনাজাতে কান্নায় বুক ভাসান তারা।
এর আগে শুক্রবার ভোর থেকে দিকনির্দেশনামূলক বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয় ইজতেমার দ্বিতীয় ও শেষ দিন। আখেরি মুনাজাতে ইতজেমাস্থলের আশপাশ এলাকাসহ সিলেট মহানগরের হাজারো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইচকে কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনালে অনুষ্ঠিত এ ইজতেমায় অর্ধ লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বাদ ফজর থেকে শুরু হয় এ ইজতেমা। দুই দিনব্যাপী এ ইজতেমায় ইসলামী জীবন যাপন অনুসরণ ও আত্মশুদ্ধি অর্জন বিষয়ে বয়ান পেশ করেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শতাধিক ওলামা-মাশায়েখগণ। বহিঃবিশ্বের একাধিক ইসলামিক স্কলারও এতে অংশগ্রহণ করেন।
ইজতেমা থেকে দেশ ও জাতির উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মুফতি মুহাম্মদ রশীদুর রহমান ফারুক বর্ণভী বলেন, আজিমুশ্বান ইজতেমা থেকে আমরা দেশের সর্বস্তরের মুসলিম জনতাকে এই আহ্বান জানাচ্ছি যে, নিজের ও নিজের পরিবারের ঈমান-আমলের পরিশুদ্ধির জন্য ঘরে ঘরে আপনারা তালীম তথা দ্বীনি শিক্ষার চর্চা চালু করুন। মসজিদে, কর্মক্ষেত্রে, আবাসস্থলে—দ্বীনি তালীমের চর্চা জারি থাকলে মুসলমানদের ঈমান-আমল সংরক্ষিত থাকবে। কেউ তাদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না।
-এএ