আবদুল্লাহ তামিম।। ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস মুফতি আবুল কাসেম নুামানি হাফি. ৩ দিনের সংক্ষিপ্ত বাংলাদেশ সফরে পৌঁছেছেন। আজ বুধবার ৩.৪৫ মিনিটে তিনি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র বিষয়টি আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছে। আল্লামা আবুল কাসেম নোমানীকে বিমান বন্দরে ইস্তিকবাল জানান, বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রধান মুফতি ও সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি ইনামুল হক কাসেমী, সেন্টার ফর ইসলামিক ইকোনমিকস বাংলাদেশ বসুন্ধরা ঢাকার নির্বাহী পরিচালক, রাজধানীর জামিয়াতুল আবরার বাংলাদেশের সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি শাহেদ রাহমানী, আল্লামা আবুল কাসেম নোমানীর শাগরেদ উত্তরার মাওলানা রুহুল আমিন কাসেমি।
এ সফরে তিনি বেশ কয়েকটি ইসলামি মহাসম্মেলনে উপস্থিত থকবেন। বিশেষ করে আগামীকাল দুপুর বারটায় প্লেনে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে আন্তর্জাতিক ইসলামি মহা সম্মেলনে যোগদান করবেন।
(১৬ নভেম্বর) বুধবার: বাদ ইশা তিনি উত্তরার ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে ইসলামি মহাসম্মেলনে যোগ দিবেন। (১৭ নভেম্বর) বৃহঃবার: বৃহঃবার ফজরের পূর্বে টঙ্গিও ধোওরে অবস্থিত আল্লামা নুর হুসাইন কাসেমি রহ. এর মাকবারা ও জামিয়া সাবহানিয়া জিয়ারত। বাদ ফজর জামিয়াতুন নুর আল ইসলামিয়া নয়ানগর, টঙ্গিতে সংক্ষিপ্ত দোয়া ও জিয়ারত। এরপর দুপুর বারটায় প্লেনে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে জমিয়তুল ফালাহ ময়দানে আন্তর্জাতিক ইসলামি মহা সম্মেলনে যোগদান।
(১৮ নভেম্বর) শুক্রবার সকাল সাতটায় উত্তরা ১৩ নং সেক্টরের গাউসুল আজম জামে মসজিদে আবনায়ে দারুল উলুম বাংলাদেশের উদ্যোগে গুরুত্বপূর্ণ নসিহত পেশ ও মুলাকাত। দোহারে (মাকসুদপুর) মাদরাসা আবদুল্লাহ ইবনে উমরে জুমা আদায় এবং জুমাপুর্ব খুতবা প্রদান। সেখান থেকে হেলিকপ্টার যোগে টাঙ্গাইল যাবেন এবং সেখানের কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানে বাদ ইশা ইসলমি মহাসম্মেলনে যোগদান করবেন।
(১৯ নভেম্বর) শনিবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে এগারটা পর্যন্ত বসিলা (বসিলা ব্রিজ পার হয়ে ওয়াশপুর টাওয়ার সেখান থেকে অটোরিক্সা যোগে টোটালিয়াপাড়া, শ্যামলাশী) জামিয়াতুল হাসানাইন ঢাকায় হযরতের মুরিদ, খোলাফাদের সাথে খুসুসি মুলাকাত দুআ ও আমবয়ান।
মুফতি আবুল কাসেম নুমানি বর্তমান বিশ্বের আলোচিত ইসলামী ব্যক্তিত্ব। পৃথিবীখ্যাত দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস ছাড়াও তিনি আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। নমুনায়ে সলফ।
আমিরে মিল্লাত উপাধিতে ভূষিত তার ভক্তদের মাঝে। আল্লামা নুমানি উপমহাদেশের প্রখ্যাত বুযুর্গ, বিশিষ্ট হাদিস বিশারদ শাইখুল হাদিস যাকারিয়া রহ. এর হাতে বাইয়াত হন। হযরতের ইন্তেকালের পর ১৩৮৮ হিজরিতে উপমহাদেশের প্রখ্যাত মুফতি, ভারতের মুফতিয়ে আজম (গ্রান্ড মুফতি) ফতোয়া মাহমুদিয়ার সংকলক মুফতি মাহমুদ হাসান গাঙ্গুহি রহ. এর হাতে বাইয়াত হন। সবশেষে ১৯৮৫ সালে খেলাফত লাভ করেন।
এ মনীষী শাইখুল হিন্দ মাহমুদ হাসান দেওবন্দি রহ.’র বিশিষ্ট শাগরিদ মাওলানা ইবরাহিম বালিয়াবি রহ. এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এ ছাড়া তিনি ইতিহাসের হিরকখÐ মাওলানা ফখরুদ্দিন মুরাদাবাদি, দারুল উলুম দেওবন্দের দীর্ঘকালীন মুহতামিম হাকিমুল ইসলাম কারী তাইয়েব, মুফতি নিযামুদ্দিন, শাইখুল আদব ওহিদুজ্জামান কিরানভি, দেওবন্দের সাবেক শাইখুল হাদিস মাওলানা মেরাজুল হক দেওবন্দি, মাওলানা আনযার শাহ কাশমেরি রহ.সহ অসংখ্য মনীষীদের শিষ্যত্ব লাভে ধন্য হন।
বক্তৃতা, লেখালেখি ও অধ্যাপনাসহ বিভিন্ন দীনি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন কালের এ মনীষী। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি একাধিক দীনী প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা, একাধিক পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে দীনের বহুমখি খেদমত আঞ্জাম দিচ্ছেন।
আল্লামা নুমানির বাংলাদেশ সফরের শিডিউল ও যাবতীয় ব্যবস্থাপনা করছেন তার খলিফা ও শাগরেদ উত্তরার মাওলানা রুহুল আমিন কাসেমি। সফরের এ তথ্য এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন আল্লামা নুমানির শাগরেদ ও মুরিদ মাওলানা আবুল ফাতাহ কাসেমি।
-এটি