মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক: দুনিয়াতে মানুষের জীবন এক অবস্থায় থাকে না। অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। আর এটা যেমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে সত্য তেমনি সত্য জাতি-গোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও।
এ জীবনে যেমন আসে সুখের পর দুঃখ, সুস্থতার পর অসুস্থতা তেমনি আবার আসে দুঃখের পরে সুখ এবং অসুস্থতার পরে সুস্থতা। সচ্ছলতার পর অসচ্ছলতা আবার অসচ্ছলতার পর সচ্ছলতা। পরিবর্তনের এই চলমান ধারাই হল পার্থিব জীবন।
মানুষের এ জীবন এরূপ পরিবর্তনশীল বানানোর পিছনে রয়েছে অনেক তাৎপর্য ও হিকমত। যার সম্যক জ্ঞান রয়েছে মানুষের খালিক ও মালিক আল্লাহ তাআলার কাছে। তবে আল্লাহ যাদের চিন্তাশক্তি দান করেছেন তারা কিছু কিছু হিকমত অনুধাবনও করে থাকেন।
বাহ্যদৃষ্টিতে যেরূপ অবস্থার মুখোমুখিই হোক না কেন মুমিনের সৌভাগ্য এই যে, সকল অবস্থাই তার জন্য কল্যাণকার। শর্ত হল, যে অবস্থার সে সম্মুখীন হয়েছে তাতে আল্লাহর কী হুকুম রয়েছে সে সম্পর্কে অবগত থাকা এবং সে হুকুমের অনুগত থাকা।
কখনো কোনো বড় ধরনের মুসীবত এসে পড়লে কিংবা কোনো দুর্যোগে জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে গেলে তা কোন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হবে এবং কী কর্মপন্থা অবলম্বন করা হবে এসব বিষয়ে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে কখনো কখনো আমরা ভুলত্রুটির শিকার হয়ে পড়ি। এমন বেফাঁস মন্তব্যও মুখ থেকে বেরিয়ে যায় যা একেবারেই ভুল ও অসমীচীন। আর করণীয় সম্পর্কে গাফেল হয়ে অকরণীয় কাজকর্মে লিপ্ত হয়ে যাই।
এজন্য বিভিন্ন আসমানী মুসীবতে ও সাধারণ বিপদাপদে চিন্তা ও কর্মের গতি কোন পথে চালিত হবে সে সম্পর্কে অবগতি থাকা একান্ত প্রয়োজন। আল্লাহ তাআলা যদি তাওফীক দেন তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা রয়েছে। বর্তমান আলোচনায় শুধু কয়েকটি বিষয় ছুঁয়ে যেতে চাই। আশা করি, এর মাধ্যমেও আল্লাহ তাআলা কিছু না কিছু উপকার আমাদের দান করবেন।
১. বিভিন্ন আসমানী মুসীবত যথা বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ইত্যাদির কিছু পরিবেশগত কার্যকারণ রয়েছে, যা বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নির্ণিত। এ কারণগুলো যদি শুধু ধারণা ও অনুমানভিত্তিক না হয়ে সঠিক পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে নির্ণিত হয়ে থাকে তবে এগুলো স্বীকার করতে কোনো অসুবিধা নেই।
তবে একথা ভুলে গেলে চলবে না যে, এসব বাহ্যিক ও পরিবেশগত কার্যকারণের পশ্চাতে এমন কিছু কার্যকারণ ও উপযোগিতা রয়েছে, যেগুলো বিজ্ঞানের বস্ত্তনির্ভর পর্যবেক্ষণ-দৃষ্টির আওতা-বহির্ভূত।
শুধু ‘ওহী’র মাধ্যমে এগুলোর জ্ঞান অর্জিত হয়। এরূপ কিছু কার্যকারণ আল্লাহ তাআলা বান্দাদের জানিয়ে দিয়েছেন ওহীর মাধ্যমে। এই ওহীভিত্তি দৃষ্টিকোণ থেকেই একজন মুমিন এ ধরনের আসমানী মুসীবতগুলোকে বিশ্লেষণ করে থাকেন। বস্ত্তগত কার্যকারণগুলোকে তারা স্থান দিয়ে থাকেন দ্বিতীয় পর্যায়ে।
২. এসব দুর্যোগ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা হল, এগুলো অবশ্যই আযাব ও গযব, যা ব্যাপক পাপাচারের শাস্তিরূপে আপতিত। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, যার অন্তরে আল্লাহর ভয় আছে সে অবশ্যই এ পরিস্থিতিতে আল্লাহ তাআলার দিকে রুজু করে, সবর করে এবং তওবা-
ইস্তেগফারের মাধ্যমে সংশোধিত হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ঈমানী দুর্বলতার কারণে কারো কারো মনে বিভিন্ন প্রশ্নেরও উদ্রেক হয় এবং আল্লাহ মাফ করুন, কখনো কখনো তা উচ্চারিত হতেও দেখা যায়।
যথা : এ প্রশ্ন হয় যে, যদি এটা গুনাহ ও অপরাধের শাস্তিই হয়ে থাকে তাহলে সবচেয়ে বড় যে অপরাধী আমেরিকা ওখানে কেন আযাব আসে না? আবার যদি এই ভূখন্ডেই আযাব আসার সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে তবে এ ভূখন্ডেরই অন্যান্য অংশেও তো পাপাচার হয়ে থাকে। সে অংশগুলো কেন ক্ষতিগ্রস্ত হল না?
আর দুর্যোগগ্রস্ত এলাকায় সবাই কি পাপী-গোনাহগার? ওখানেও তো মসজিদ আছে, মাদরাসা আছে, নিষ্পাপ শিশু আর নেককার মানুষ আছে? তাদের অপরাধ কী? তাহলে কি বড়লোকের পাপের সাজা গরীব-দুঃখীকে ভূগতে হচ্ছে?
আবার কারো মনে এই ওয়াসওয়াসাও সৃষ্টি হতে পারে যে, এগুলো যখন আযাব-গযব তাহলে আমাদের বোধ হয় দুর্যোগগ্রস্ত স্থানে যাওয়া উচিত নয়। কেননা, আযাব-গযবের স্থান থেকে দূরে থাকাই হল হাদীস শরীফের নির্দেশনা।
এগুলো ভুল চিন্তা এবং এক ধরনের অবাধ্য মানসিকতা থেকে সৃষ্ট ওয়াসওয়াসা। এ অবাধ্য ও ভ্রান্ত চিন্তা বিদূরিত হওয়ার জন্য খাঁটি দিলে আল্লাহর দরবারে তওবা করা কর্তব্য। আর ‘লা হাওলা’ পড়ে আল্লাহর কাছে এই দুআ করা কর্তব্য যে, ইয়া আল্লাহ! আপনি আমাকে বিশুদ্ধ ঈমান দান করুন। আপনার সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট থাকার তাওফীক দান করুন। শোকরের সময় শোকর আর সবরের সময় সবর করার তাওফীক নসীব করুন।
এরপর নিম্নোক্ত কথাগুলো স্মৃতিতে বসিয়ে নেওয়া উচিত।
ক. আসমানী মুসীবত সর্বদা আযাবরূপে আসে না। কখনো পরীক্ষার জন্যও আসে। সূরা আ’রাফে (আয়াত ১৬৮) তা উল্লেখিত হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, আবার কখনো আযাব হিসেবে আসে। সূরা রূমের-৪১ নম্বর আয়াতে ও সূরা শূরার-৩০ নম্বর আয়াতে এটা উল্লেখিত হয়েছে।
এজন্য যেকোনো দুর্যোগ ও বিপদ-আপদকে দ্ব্যর্থহীনভাবে আযাব-গযব বলে আখ্যায়িত করা উচিত নয়। কেননা, তা যেমন আযাব-গযব হতে পারে, তেমনি পরীক্ষাও হতে পারে।
খ. কোথাও কোনো বিপদ-আপদ যদি আযাব হিসেবেও আসে তবুও অপরিহার্য নয় যে, এটা শুধু ওইসব লোকের গোনাহর কারণে এসেছে যারা এ বিপদে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত।
বরং ভূপৃষ্ঠে সংঘটিত সকল গোনাহই এর কার্যকারণ হিসেবে গণ্য। তবে যেহেতু কিয়ামতের আগে সকল জনপদ একসঙ্গে ধ্বংস করে দেওয়া আল্লাহ তাআলার অভিপ্রায় নয় আর তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দুআর বরকত তাই বালা-মুসীবত একেক সময় একেক স্থানে আপতিত হয়। অতএব মুসীবত যেখানেই আসুক ভাবতে হবে যে, এর পিছনে আমারও গোনাহর কার্যকারিতা রয়েছে অতএব গোনাহ পরিহার করা আমার কর্তব্য।
গ. যে মুসীবত আযাব হিসেবে এসেছে তাতে ক্ষতিগ্রস্ত সবার জন্যই তা আযাব- এটা অপরিহার্য নয়। বরং এ মুসীবতই আল্লাহ কারো জন্য রহমত বানিয়ে থাকেন। আল্লাহর নেককার বান্দা যারা এ মুসীবতে মৃত্যুবরণ করেছেন তারা শহীদের ছওয়াব লাভ করবেন আর যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আল্লাহ তাদের মর্যাদা বুলন্দ করবেন।
ঘ. যে বিপদ আযাব হিসেবে আসে তার সম্পর্কেও আল্লাহ তাআলার নীতি এই যে, তাতে শুধু অপরাধীরাই আক্রান্ত হয় না, সবাই আক্রান্ত হয়। এজন্য আল্লাহ তাআলা সতর্ক করেছেন যে,
অর্থাৎ ওই ফিতনা ও মুসীবত সম্পর্কে সতর্ক হও, যা এসে গেলে শুধু অপরাধীদের উপরই আসবে না, সবার উপর আসবে।
এজন্য গোনাহে লিপ্ত হওয়ার আগে একথা স্মরণ করা উচিত যে, আমি এ গোনাহর মাধ্যমে শুধু আমার নয়, গোটা সৃষ্টি জগতের ক্ষতিসাধন করছি। নেককার মানুষদেরও শুধু নিজের চিন্তা করাই যথেষ্ট নয়, পরিবার-পরিজন ও সমাজের মানুষেরও সংশোধনের চিন্তা করতে হবে। দাওয়াত ও তালীমকে ব্যাপক করতে হবে এবং সাধ্যমতো ‘আমর বিল মা’রূপ’ ও ‘নাহি আনিল মুনকার’ বিষয়ে যত্নবান হতে হবে।
মোটকথা, এটা নিশ্চিত যে, বিপদগ্রস্ত যেসব মানুষ গোনাহ ও অপরাধ থেকে মুক্ত কিংবা শরীয়তের বিধান এখনো তার জন্য কার্যকর হয়নি তাদের জন্য আল্লাহ তাআলা এ মুসীবতকে রহমত বানিয়ে থাকেন।
ঙ. ব্যাপকভাবে সংঘটিত গোনাহ ও অপরাধের সাজা আল্লাহ তাআলা শুধু আসমানী বালা-মুসীবতের মাধ্যমে দিয়ে থাকেন এ ধারণা ঠিক নয়। বরং এটা আযাবের একটি প্রকার মাত্র। সবচেয়ে বড় আযাব হচ্ছে সমাজ থেকে শান্তি ও নিরাপত্তা বিদায় নেওয়া, সততা ও আমাতদারী বিলুপ্ত হওয়া, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়া, শান্তির সমস্ত উপকরণ বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও অশান্তির আগুন জ্বলতে থাকা ইত্যাদি। এসব আযাবে আক্রান্ত লোকেরা যদি এই সুখ চিন্তায় বিভোর থাকে যে, আমাদের উপর আযাব আসেনি, আযাব এসেছে ওই দুর্যোগগ্রস্ত অঞ্চলে, তবে এটা তাদের ভ্রান্তিবিলাস ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এটাও হচ্ছে এক স্বতন্ত্র আযাব।
তাছাড়া একটি বড় মুসীবত যদি কোনো অঞ্চলে আসে তাহলে তা পরোক্ষভাবে আশপাশের গোটা ভূখন্ডকে, বরং কখনো গোটা পৃথিবীকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই মুসীবতের প্রত্যক্ষ আঘাত থেকে প্রাণে বেঁচে একথা ভাবতে থাকা যে, ‘বেঁচে গেলাম’, এক ধরনের অপরিণত চিন্তা ছাড়া আর কিছু নয়।
চ. মুমিনের সঙ্গে আল্লাহ তাআলা যে ব্যবহার করে থাকেন তা কাফেরদের থেকে ভিন্নরূপ। মুমিন হচ্ছে আল্লাহর বান্দা, মুসীবতের মাধ্যমে আল্লাহ তাকে সতর্ক করেন আর তার দরজা বুলন্দ করেন। অন্যদিকে কাফেররা হচ্ছে অবাধ্য ও বিদ্রোহী। আল্লাহ তাআলা কখনো তাদের উপর আযাব নাযিল করলেও তাদের সম্পর্কে তাঁর সাধারণ নীতি এই যে, তিনি তাদেরকে অবকাশ দিতে থাকেন। এভাবে যখন পাপের পাত্র কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে তখন একসঙ্গে আখিরাতে কঠিনভাবে পাকড়াও করেন।
কখনো দুনিয়াতেও তার দু’একটি দৃষ্টান্ত দেখিয়ে থাকেন। এজন্য কাফেরদের ওপর যদি আযাব না আসে কিংবা কম আসে তাহলে এতে তাদের আনন্দিত হওয়ার কোনো কারণ নেই; বরং এটা তো তাদের জন্য সাধারণ আযাবের চেয়েও বড় আযাব। আর এজন্যই বিভিন্ন মুসীবতের সময় কাফেরদের প্রসঙ্গ টেনে নিয়ে আসা অত্যন্ত গর্হিত মানসিকতা। এতে আল্লাহ তাআলার তাম্বীহ ও সতর্কবাণীকে ভুল দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করা হয়।
ছ. যে বিপদাপদ পরীক্ষা হিসেবে আসে সেগুলো শুধু তাদের জন্যই পরীক্ষা নয় যারা এগুলোতে সরাসরি আক্রান্ত হয়েছে; বরং এটা সবার জন্য, গোটা পৃথিবীর সকলের জন্য পরীক্ষা। পাকিস্তানের ভূমিকম্প শুধু পাকিস্তানীদের জন্য পরীক্ষা নয়। তদ্রূপ বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড়ও শুধু বাংলাদেশীদের জন্য পরীক্ষা নয়; বরং গোটা পৃথিবীর সবার জন্যই পরীক্ষা ও তাম্বীহ। আল্লাহ তাআলা পরীক্ষা করছেন- কে সবর করে আর কে ইলাহী ফয়সালার সমালোচনা করে। কে মুসীবত দেখে সজাগ-সতর্ক হয় এবং তওবা করে নিজেকে সংশোধন করে আর কে পূর্বের মতোই উদাসীন নিদ্রায় বিভোর থাকে। কে সামর্থ্য অনুযায়ী বিপদগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসে আর কে নিজ স্বার্থ-চিন্তাতেই ডুবে থাকে।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমাদের করণীয় এই যে,
১. ‘সবর’ ও ‘তাফবীয’ অর্থাৎ নিবেদিত চিত্তে ধৈর্যধারণ এবং ‘রিযা বিল কাযা’ অর্থাৎ আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা।
২. সকল রকম গোনাহ থেকে তওবা করা এবং অনতিবিলম্বে নিজের সংশোধনে আত্মনিয়োগ করা। আর অধিক পরিমাণে ইস্তেগফার করা।
৩. সম্ভাব্য সকল উপায়ে মুসীবতগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। যার পক্ষে যতটুকু সম্ভব তা-ই নিবেদন করা। একথা চিন্তা করে পিছিয়ে থাকা উচিত নয় যে, আমার সামান্য অংশগ্রহণে এত মানুষের কী সাহায্য হবে; বরং বিপদগ্রস্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসার নবী-সুন্নত পালনের এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। তিনি এমন ছিলেন-
৪. হাদীস শরীফে আযাব-গযবের স্থানে যাওয়া সম্পর্কে যে নিষেধ এসেছে তা ওইসব স্থান সম্পর্কে যেখানে আপতিত বিপদাপদ সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে জানা রয়েছে যে, এটা কুফর-শিরক এবং আম্বিয়ায়ে কেরাম আ.-এর অবাধ্যতার শাস্তিস্বরূপ এসেছে। যেখানেই কোনো মুসীবত আপতিত হয় সেখানেই যাওয়া অনুচিত এটা হাদীসের নিষেধাজ্ঞার অর্থ নয়।
বরং হাদীস শরীফে বিপদগ্রস্তদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসাকে জরুরি সাব্যস্ত করা হয়েছে। কেননা, এর মাধ্যমে উপদেশ গ্রহণেরও সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং এই অনুভূতিও জাগ্রহ হয় যে, আল্লাহ যে আমাদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন আমরা কি তার শোকর আদায় করছি এবং নিজেকে সংশোধিত করছি?
৫. বাহ্যিক মুসীবতের সময় কর্তব্য পালনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ মুসীবত যা সর্বদা ঈমান-আমলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে সে বিষয়েও কর্তব্য পালনে সচেতন হওয়া কর্তব্য। এ উদ্দেশ্যে দ্বীনী তা’লীম ও দ্বীনী দাওয়াতকে ব্যাপক থেকে ব্যাপকতর করার লক্ষ্যে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করাও কর্তব্য।
৬. সবশেষে যবানের হিফাযতের বিষয়ে সচেতন থাকা কর্তব্য। না আল্লাহর ফয়সালা সম্পর্কে আপত্তি ও অসন্তুষ্টি প্রকাশ আর না অন্য কারো গীবত-শেকায়েত। শুধু নিজের গীবত ও নিজের শেকায়েত। আর নিজের ও পরিবার-পরিজনের সংশোধনের লক্ষ্যে উপযুক্ত প্রয়াস গ্রহণ।
-এটি