আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শিল্প সাহিত্যের নগরী ময়মনসিংহে ৬ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ৯ দিনব্যাপী ইসলামি বই মেলা আজ শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। ক্রেতা-দর্শনার্থীরা মেলা প্রাঙ্গণে তাদের পছন্দের বই ঘুরে দেখছেন, পড়ছেন ও কিনছেন।
সীরাতকেন্দ্রের আয়োজনে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ও ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী’র পৃষ্ঠপোষকতায়, মাহে রবিউল আওয়াল উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহের টাউন হল চত্বরে ৯দিন ব্যাপী ইসলামী বইমেলা।
মেলা কর্তৃপক্ষ আওয়ার ইসলামকে জানিয়েছে,মেলায় ময়মনসিংহের স্থানীয় বিভিন্ন প্রকাশনীসহ, দেশের নামীদামী অনেকগুলো প্রকাশনীর স্টল সমূহ থাকবে। এদের মধ্য মাকতাবাতুল আযহার,মাকতাবাতুল ইসলাম,মাকতাবাতুল হেরা,মাকতাবাতুল হাসান,বইঘর,আশরাফিয়া বুক হাউস,আন-নূর পাবলিকেশন,আশরাফিয়া বুক ডিপো,আল মাহমুদ প্রকাশনী,চেতনা প্রকাশ,ফাতিহ প্রকাশ,মাকতাবাতুল হিজায,আহবাব পাবলিকেশন,ইসলামিক ফাউন্ডেশন,মদীনা পাবলিকেশন্স,মাসিক মদীনা পাবলিকেশন্স,নাশাত পাবলিকেশন,মাকতাবাতুল আসলাফ,ইসলামিক জোন কুষ্টিয়া,বইপল্লী, আর-রিহাব পাবলিকেশন,হাসানাত পাবলিকেশন,মাকতাবাতুত তাকওয়া,ওয়াফি পাবলিকেশন,পুনরায় প্রকাশন,গ্রন্থালয়,কতকিছু ডট কম,হুদহুদ প্রকাশন,সমকালীন প্রকাশন,সিয়ান পাবলিকেশন,রুহামা পাবলিকেশন,মিরর পাবলিকেশন্স,সন্দীপন প্রকাশন,মাকতাবাতুল বায়ান,পথিক প্রকাশন, নবপ্রকাশ,কালান্তর প্রকাশনী,দারুল আরকাম,মুহাম্মাদ পাবলিকেশন,রাহনুমা প্রকাশনী ও ক্যালিগ্রাফি প্রতিষ্ঠান বহুবচন আর্ট গ্যালারী অন্যতম। এছাড়া কয়েকটি দোকানে খেজুর, আতর, তসবি, টুপি বিক্রি করা হচ্ছে।
বাংলা, ইংরেজি ও আরবি ভাষার বই আছে। ইসলামিক উপন্যাস, ইতিহাস, গল্প, প্রবন্ধ, হুকুম-আহকাম, মাসয়ালা-মাসায়েলসহ সব ধরনের ইসলামিক বই আছে মেলায়। এছাড়া আছে মাদরাসার দারস কিতাব, আরবি শরাহ ও তাফসিরগ্রন্থও।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান সীরাতকেন্দ্রের পরিচালক মাওলানা আমীর ইবনে আহমদ বলেন, ২০০৭ সালে ঢাকার বাইরে প্রথম ময়মনসিংহে ইসলামি বই মেলার আয়োজন করি। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মেলাটি হচ্ছে। এরইমধ্যে, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মেলার আয়োজন করা হয়। এ মেলা দেখে অনেকে নিজেদের অঞ্চলে আয়োজন করতে চাচ্ছেন এবং আমাদের সহায়তা চাচ্ছেন। আমাদের সাধ্যমত তাদের সহায়তা করব বলে আশ্বাস দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এবারের আয়োজনটা শহরের প্রাণ কেন্দ্রে হওয়ায় এবং যাতায়াত সহজ হওয়ায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষ মেলায় আসছেন। মাদরাসা শিক্ষার্থীর চাইতে জেনারেল শিক্ষার্থীরাই বেশি আসছেন। তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক, শিক্ষক, বিভাগীয় প্রধানরাও আসছেন এ মেলায়।
-এসআর