আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (জিএইচআই) অবস্থানের অবনতি হলেও বড় দুই প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
এ বছর ১২১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৪তম। গত বছর জিএইচআইতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৬তম। সে হিসেবে চলতি বছর বাংলাদেশ পিছিয়েছে সাত ধাপ। সূচকে প্রতিবেশী ভারত ১০৭ এবং পাকিস্তান রয়েছে ৯৯তম অবস্থানে।
অপুষ্টি, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা, মৃত্যুহার, উচ্চতার তুলনায় ওজন এই চার বিষয়কে সামনে রেখে প্রতিবছর ক্ষুধা সূচক প্রকাশ
করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার এক অনলাইন ইভেন্টের মাধ্যমে আয়ারল্যান্ডভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং জার্মানির ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফ যৌথভাবে জিএইচআই-২০২২ প্রকাশ করেছে। মূলত ১২১টি দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, শিশু স্বাস্থ্য আর সম্পদ বণ্টনে বৈষম্যের মতো বিষয়গুলোকে মাপকাঠি ধরে তৈরি করা হয়েছে এই সূচক। এবার সূচকে সমস্ত মাপকাঠির ওপরে বাংলাদেশের স্কোর ১৯.৬।
চলতি বছরের সূচকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের ওপরে ১৩.৬ স্কোর নিয়ে ৬৪তম শ্রীলংকা ও ১৯.১ স্কোরে ৮১তম অবস্থানে রয়েছে নেপাল।
এ ছাড়া ১৫.৬ স্কোরে ৭১তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী আরেক দেশ মিয়ানমার। ক্ষুধা নির্মূলে এ বছর শীর্ষ পাঁচ দেশ হলো বেলারুশ, বসনিয়া হার্জেগোভিনা, চিলি, চীন ও ক্রোয়েশিয়া। তার তালিকার তলানিতে অবস্থান করা পাঁচ দেশ হলো যথাক্রমে ইয়েমেন, বুরুন্ডি, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সিরিয়া। প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে বিশ্বে গুরুতর ক্ষুধা পরিস্থিতি বিরাজ করছে দক্ষিণ এশিয়ায়।
ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তানসহ অন্তত ৩৫ দেশে ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। অন্তত ৯টি দেশে বর্তমানে ক্ষুধা পরিস্থিতি রয়েছে উদ্বেগজনক পর্যায়ে। সাহারার দক্ষিণের আফ্রিকা অঞ্চলে দ্বিতীয় সবচেয়ে বেশি ক্ষুধার্ত পরিবেশ রয়েছে। পশ্চিম এশিয়া এবং উত্তর আফ্রিকায় ক্ষুধা পরিস্থিতি আছে মাঝারি পর্যায়ে। তবে ক্ষুধা নির্মূলে সবচেয়ে এগিয়ে আছে ল্যাটিন আমেরিকা, ক্যারিবীয়, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপ।
-এটি