আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: লক্ষীপুর জেলার তরুণ ও যুবকদের প্রাণের সংগঠন আলোর দিশারি ফাউন্ডেশন এর ১২ বছরে পদার্পন ও জেলার বেফাক কৃতি পরীক্ষার্থীদের পুরষ্কার প্রদান উপলক্ষে "যুগপূর্তি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান" অত্যন্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন হয়েছে।
লক্ষীপুর জেলা শহরে অবস্থিত টাউন হল অডিটোরিয়ামে ওলামায়ে কেরাম ও ছাত্রদের ব্যাপক অংশগ্রনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় বহুল প্রতিক্ষিত এ অনুষ্ঠান।
মাওলানা আমীর জিহাদি ও মাওলানা ইউসুফ এর যৌথ সঞ্চালনায় দুপুর তিনটা থেকে শুরু হয় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম। অনুষ্ঠানে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা আ ফ ম খালিদ হুসাইন সাহেব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশবরেণ্য ইসলামিক গবেষক ও কলামিস্ট মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ, লক্ষীপুর টুমচর কামিল মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা হারুন আল-মাদানী, অনলাইন পোর্টাল আওয়ার ইসলাম24 সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব, লক্ষীপুর জেলা বেফাক সভাপতি মাওলানা আব্দুল হান্নান সাহেব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল আলোর দিশারী ফাউন্ডেশন এর যুগপূর্তি উপলক্ষে "স্মারক" উম্মোচন। এছাড়া অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবের শিল্পীবৃন্দ।
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বেফাক বোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জনকারী ও মুমতাজ ছাত্রদেরকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিগত দুই সেকশনের প্রায় ৫০০ কৃতি ছাত্রের হাতে একটি সম্মাননা ক্রেস্ট, একটি স্মারক গ্রন্থ ও একটি মূল্যায়ন সার্টিফিকেট তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শ্রোতা ও ছাত্রদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান বক্তব্য প্রদান করেন আমন্ত্রিত ওলামায়ে কেরামগন।
প্রধান অতিথি ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ইসলাম একটি উদার ধর্ম। আমাদেরকে উদার মানসিকতা লালন করতে হবে। উদারভাবে সকলের ভাল কাজের মূল্যায়ন করতে হবে। সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সবাইকে বের হয়ে ইসলামের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বেফাক কৃতি ছাত্রদের জন্য এমন চমৎকার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করায় তিনি আলোর দিশারী ফাউন্ডেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ বলেন,
উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে উলামায়ে কেরাম যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন সেখান থেকে প্রেরণা নিয়ে আমাদেরকে নতুন করে তৈরি হতে হবে। তিনি তার বক্তব্যে লক্ষীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের বরেন্য আলেমদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরেন।
মাওলানা হারুন আল মাদানী তাঁর বক্তব্যে বলেন, মাদরাসায় পড়ে ছাত্রদের হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। দুনিয়াবী সার্টিফিকেটের চেয়ে আল্লাহ প্রদত্ত সম্মান ও মর্যাদা বেশি গুরুত্ব রাখে। আর সেটা অর্জন করতে হলে মাদরাসায় পড়তে হবে।
বিশিষ্ট অনলাইন এক্টিভিস্ট, আওয়ার ইসলাম২৪ ডট কম এর সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব বলেন,
উস্তাদের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধা পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করতে হবে। এক্ষেত্রে তিনি শাইখুল হিন্দ রহ. সহ উলামায়ে দেওবন্দের বিভিন্ন উদাহরণ পেশ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য পেশ করেন লুধুয়া মাদরাসার শাইখুল হাদীস মাওলানা আবু নাছের আব্দুল্লাহ, ইছলাহুল উম্মাহ ক্বওমী মাদরাসার সম্মানিত মুহতামিম মাওলানা নুরুল আমিন কাসেমী সাহেব, বটতলি মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি ইউনুস, হাজিমারা জামিয়া কারিমিয়ার মুহতামিম মাওলানা আ হ ম নোমান সিরাজী, ক্বওমী কল্যান ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মাওলানা ইসহাক মাহমুদ, সিনিয়র সহসভাপতি মুফতি আল আমিন, মাদরাসাতুত দাওয়ার মুহতামিম মুফতি নুরুদ্দীনসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে জেলার সার্বিক সংকট তুলে ধরে তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে গুরুত্তপূর্ণ আলোচনা করেন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি মুহাম্মদ আরাফাত
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লক্ষীপুর জেলার শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম।
-এসআর