মুহাম্মদ আবদুল হামিদ।।
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সা. ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল। স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাঁর অসাধারণ চারিত্র ও অনুপম ব্যক্তিত্বের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেছেন, তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।
বিশ্বনবীর শ্রেষ্ঠত্বের বর্ণনা শুধুমাত্র কুরআন এবং মুসলমানরাই দেয়নি; বরং অমুসলিম মনীষীরাও দিয়েছেন। বিশ্বের অন্যতম অমুসলিম মনীষী ‘মাইকেল হার্ট’ রচিত বিশ্বের সর্বকালের সর্বাধিক প্রভাবশালী একশত মনীষীর জীবনীগ্রন্থে সর্বপ্রথম বিশ্বনবীর জীবনী রচনা করেছেন।
এই গ্রন্থে তিনি মন্তব্য করেছেন, মুহাম্মদ সা. -এর সাফল্যের মধ্যে জাগতিক ও ধর্মীয় উভয়বিধ প্রভাবের এক অতুলনীয় সংমিশ্রণ ঘটেছে। এজন্য সংগতভাবেই তাঁকে ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।
মহানবী সা. ছিলেন মানবজাতির অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় উত্তম চরিত্র ও মহানুভবতার একমাত্র আধার। তিনি ছিলেন একাধারে সমাজ সংস্কারক, ন্যায় বিচারক, বীরযোদ্ধা, যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক, দক্ষ শাসক এবং সফল ধর্মপ্রচারক। সকল ক্ষেত্রে মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম আদর্শ।
হযরত মুহাম্মদ সা. ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ মক্কার কোরাইশ বংশের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং মাতার নাম আমিনা। তাঁর জন্মের কয়েক মাস পূর্বেই পিতা আবদুল্লাহ মারা যান এবং শিশুকালেই তিনি তাঁর মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হন। মহান আল্লাহ তায়ালার কৃপায় কিছুদিন দাদা আবদুল মুত্তালিব এরপর চাচা আবু তালিবের স্নেহে লালিত-পালিত হয়ে বেড়ে ওঠেন। শিশুকাল থেকে তিনি ছিলেন শান্ত, নম্রভদ্র ও সৎচরিত্রবান।
সত্যবাদিতার কারণে সে সময়ের লোকেরা তাঁকে আল-আমীন উপাদিতে ভ‚ষিত করেছিল। যুবককালে তিনি সমাজের কল্যাণে ব্রতী ছিলেন। সমসাময়িকদের সঙ্গী বানিয়ে তৎকালীন সময়ে 'হিলফুল ফুজুল' নামক একটি সমাজকল্যাণ সংস্থা গঠন করেছিলেন। এই সংস্থার মাধ্যমে সমাজে শন্তি প্রতিষ্ঠায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন।
মহানবী সা. -এর জন্মের সময় আরবের অবস্থা ছিল খুবই ভয়াবহ। সে সময়ের মানুষ ছিল হানাহানি, রাহাজানি, সন্ত্রাস, ব্যভিচার-ধর্ষণ, খুন-খারাবিতে মত্ত। ভুলে গিয়েছিল মনুষ্যত্ব। সুশিক্ষার আলো হারিয়ে অজ্ঞতা-মুর্খতার অন্ধকারের আবর্তে নিমজ্জিত হয়েছিল। যে কারণে সেই যুগকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’ বলা হয়ে থাকে। বিশৃক্সক্ষলা, অজ্ঞতা-মুর্খতা, অনাচার-পাপাচার করতে করতে তখনকার মানুষ একেবারে জাহান্নামের কিনারে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল।
মানবতার এই চরম দুঃসময়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সা. -কে আল্লাহ তায়ালা মুক্তির পথনির্দেশক মহাগ্রন্থ আল-কুরআন দিয়ে জগতবাসীর জন্য রহমতস্বরুপ প্রেরণ করলেন। রাসুলুল্লাহ সা. মানুষকে সঠিক পথপ্রদর্শণ করলেন। জান্নাতের পথ দেখালেন।
৪০ বছর বয়সে রাসূল সা. আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়াত প্রাপ্ত হন। নবুওয়াত প্রাপ্তির পর তিনি মানুষকে কালেমার দাওয়াত দিতে লাগলেন। সর্বপ্রথম পরিজন ও নিকটজনদের মাঝে ঘোষণা করলেন, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।” অর্থাৎ- “আল্লাহ তায়ালা ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল।” তিনি মানুষকে বুঝালেন, এই কথাটি মুখে স্বীকার করা, অন্তরে বিশ্বাস করা এবং আল্লাহ তায়ালার বিধি-নিষেধ মেনে চলার মধ্যেই ইহ-পরকালীন সুখ-শান্তি নিহিত রয়েছে। এভাবে কালেমার বাণী প্রচার করে মানুষকে দ্বীনের পথে আহবান করতে লাগলেন।
রাসূল সাল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কালেমার বাণী প্রচারের সাথে সাথে নিকটজন ও ঘনিষ্ঠজনদের মধ্যথেকে হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রাঃ)-সহ অনেকেই কোন রকম অজুহাত ব্যতিরেখে সানন্দে তা গ্রহণ করে নেন। মক্কার মুর্তিপূজক ও অগ্নিউপাসকদের চরম বিরোধিতা ও চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের মাঝেও মুসলমানদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে।
প্রিয়নবী সা. মক্কার মুর্তিপূজক ও অগ্নিউপাসকদের বাধা, ষড়যন্ত্র, জুলুম-নির্যাতনের মাঝেও তাওহীদের বাণী মুক্তির পথনির্দেশক জীবনবিধান মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের বাণী প্রচার করতে লাগলেন। মানুষকে তাওহীদের শিক্ষা-দীক্ষা দিতে লাগলেন। ধীরে ধীরে সমাজের নাজুক অবস্থার পরিবর্তন হতে লাগলো। বিদ্ধেষ পোষণকারীরা যতই বিরোধিতা করলো ইসলাম ততই বিস্তৃত হলো।
নবুওতেয়র একাদশতম বছর ৬২২ সালের জুন মাসে মক্কার আবু জেহেল ও তার দোষরদের জুলুম নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মহানবী সা. জন্মভ‚মি ত্যাগ করে মক্কা থেকে উত্তর দিকের ইয়াসরিব নামক শহরে হিজরত করেন। এই শহরের লোকজন দো’জাহানের বাদশাহকে যথাযথ মর্যাদার সাথে বরণ করে নেন এবং তাঁর দেখানো জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করে নিজেদের জীবনকে আলোকিত করেন। মহানবী সা. -এর আগমনের ফলে ইয়াসরিব শহরের নাম হয়ে গেলো ‘মদীনাতুন্ নবী’- যার অর্থ: নবীর শহর।
মহানবী সা. তৎকালীন সময়ের সামাজিক অস্থিরতার কারণগুলো চিহ্নিত করে তা দূরীকরণে তাগিদ দিলেন। খুন-খারাবির বিরুদ্ধে ঘোষণা করলেন, ‘মানুষ হত্যা মহাপাপ।’ এর করুণ পরিণতির কথা মানুষকে বুঝালেন। পবিত্র কুরআনুল কারীমে কিসাসের আয়াত অবতীর্ণ হলো। রাসূল সা. সমাজের লোকজনকে তা জানিয়ে দিলেন। ফেতনা-ফাসাদ দূরীকরণে রাসূল সা. ঘোষণা করলেন, “ফেতনা সৃষ্টি করা হত্যার চেয়েও জঘন্য অপরাধ।”
যেনা-ব্যভিচার ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। ব্যভিচার ও ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান জারি করলেন। তিনি ঘোষণা করলেন, “অবিবাহিত পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে ব্যভিচারের শাস্তি একশত বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ ও নারীর ক্ষেত্রে একশত বেত্রাঘাত ও রজম (‘রজম’ অর্থাৎ- পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড)।” আল-কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, “ব্যভিচারিণী নারী, ব্যভিচারী পুরুষ; তাদের প্রত্যেককে এক’শ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর করতে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাক। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। (সূরা নূর: ২)।
রাসূল সা. দেখলেন সমাজে নারীরা তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত, অবহেলিত, পদে পদে লাঞ্চিত অপমানিত এবং নির্যাতিত। তাই তিনি নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন।
তিনি ঘোষণা করলেন, ‘নারীরা মায়ের জাতি।’ তিনি আরো ঘোষণা করলেন, ‘জান্নাত মায়ের পায়ের নিচে।’ পাশাপাশি পর্দার বিধান জারি করলেন। এ প্রসঙ্গে কুরআনে ঘোষিত হয়েছে- “হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিন নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দাংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (সূরা আহযাব : ৫৯)।
অন্য আয়াতে ঘোষণা করা হয়েছে, “(হে নবী!) মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আবরণ প্রদর্শন না করে।” (সূরা নূর :৩১)।
গীবত বা পরনিন্দা সম্পর্কে তিনি ঘোষণা করলেন, গীবত করা কবীরা গোনাহ। এর পরিণতি ভয়াবহ। গীবত করা নিজের আপন ভ্রাতার হাত কামড়ে খাওয়ার মত ঘৃন্য ও জঘন্য অপরাধ। মিথাবাদীর বিরুদ্ধে ঘোষণা করলেন, মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ অভিসম্পাত করেন। মিথ্যা বলা মহাপাপ। তিনি আরো ঘোষণা করলেন, ‘সত্য সমাগত মিথ্যা কলুষিত।’
এভাবে রাসূল সা. মানবজীবনের প্রতিটি বিষয়ে আল-কুরআনের শাশ্বত বিধানগুলো মানুষকে শিক্ষা দিতে লাগলেন। মানুষের খাওয়া-দাওয়া, উঠা-বসা, চলা-ফেরা থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনের যা কিছু প্রয়োজন সবকিছুর সুন্দর গ্রহণযোগ্য পথ ও পদ্ধতি শিক্ষা দিলেন। মানুষের শিক্ষার প্রয়োজন- তিনি মসজিদে নববীতে প্রতিষ্ঠা করলেন ‘আসহাবুস সুফ্ফা’ নামক মাদরাসা। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মানুষকে হাতে-কলমে ইলমে ওহীর শিক্ষা দিতে লাগলেন। দ্বীনের বিধি-বিধানগুলো শেখালেন এবং নিজে তা পালনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে অনুপ্রণিত করলেন।
মানুষের উপার্জনের প্রয়োজন- তিনি শিক্ষা দিলেন কীভাবে হালাল উপায়ে উপার্জন করতে হবে, কীভাবে ব্যবসা-বানিজ্য করতে হবে। মানুষের ঘুমানোর প্রয়োজন- তিনি শিক্ষা দিলেন কীভাবে ঘুমাতে হবে, কীভাবে ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত আর কীভাবে ঘুমানো স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এমনকি মানুষ একজন অন্যজনের সাথে কীভাবে কথা বলা উচিত তা-ও তিনি শিখিয়ে দিলেন। নেতা হয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কেমন সম্পর্ক রাখতে হবে, কীভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে সবই তিনি শিখিয়ে দিলেন।
তাঁর দেখানো পথ ও পদ্ধতি অনুসরণ-অনুকরণ করে তৎকালীন সময়ের অধঃপতিত মানুষগুলো সোনার মানুষে পরিণত হয়ে গেলেন। তারা হয়ে গেলেন সাহাবায়ে কেরাম। পেয়ে গেলেন জান্নাতের সুসংবাদ। তাদের সম্পর্কে কুরআনে ঘোষিত হলো, “তারা আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট আর আল্লাহ তায়ালাও তাদের প্রতি সন্তুষ্ট।”
প্রিয়নবী সা. ৮ম হিজরি মোতাবেক ৬৩০ খ্রিষ্টাব্দে রমজান মাসে প্রায় দশ হাজার সাহাবায়ে কেরামের এক বিরাট কাফেলা নিয়ে মদিনা থেকে মক্কায় ফিরে আসেন। এ সময় তিনি রক্তপাতহীনভাবে পুরো মক্কা নগরী দখল করে নেন। ইসলামের ইতিহাসে এই ঘটনা ‘মক্কা বিজয়’ নামে খ্যাত।
এখানে প্রিয়নবী সা. মানবিকতা ও উদারতার অনুপম নজীর স্থাপন করেন। তিনি জনগণকে উদ্দেশ্য করে ঘোষণা করলেন, ‘হে কোরাইশগণ, তোমাদের প্রতি আমার কি রকম আচরণ করা উচিত বলে মনে কর? এর উত্তরে তারা বলল, “করুণা, হে আল্লাহর নবী! আমরা আপনার কাছে ভালো ছাড়া কিছুই আশা করি না।” অতঃপর প্রিয়নবী সা. ঘোষণা করলেন, “আমি তোমাদেরকে ঠিক তাই বলবো- যা হযরত ইউসুফ আ. তার ভাইদেরকে বলেছিলেন, আজ তোমাদের প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই; তোমরা যেতে পারো, কারণ তোমরা মুক্ত।”
ভেবে দেখুন! যাদের অত্যাচার জুলুম নির্যাতনের কারণে নিজ জন্মস্থানের মায়া ত্যাগ করে ভিন্ননগরে হিজরত করতে হয়েছিল, এমনকি সেখানে গিয়েও তাদের অত্যাচার জুলুম নির্যাতন থেকে মুক্ত থাকেননি; বরং তাদের বিরুদ্ধে বদর, ওহুদ, খন্দক-সহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধ মোকাবেলা হয়েছিল। সেই অত্যাচারী কুখ্যাত শত্রুদেরকে হাতের কব্জায় পেয়েও তাদের কাছ থেকে কোনরকম প্রতিশোধ নেননি।
সবাইকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেন। এ ছিলো প্রিয়নবীর উদারতা ও মহানুভবতার নমুনা। আমল-আখলাক, উদারতা, পরোপকারীতা, বদান্যতার অনুপম নমুনা ছিলেন আমাদের প্রিয়নবী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব রহমাতুল্লিল আলামীন সায়্যিদুল মুরসালীন মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আমাদের উচিত, বিশ্বনবীর জীবনী বেশি বেশি অধ্যয়ন করা, তাঁর জীবনী নিয়ে আরো ব্যাপক গবেষণা করা। সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে বিশ্বনবীর সুন্নাহ ও জীবনাদর্শের প্রতি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করা। সার্বিকভাবে মহানবী সা. -এর আদর্শ অনুসরণ-অণুকরণের মাধ্যমে বর্তমান সমাজের অধঃপতন অবণতি থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব।
বিশ্বমানবতার কল্যাণের ধর্ম 'ইসলাম' প্রচার ও প্রসার করে ঘুনেধরা জাহেলি বর্বর সমাজব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধনের পর জগতবাসীর অনুসরণ-অনুকরণের জন্য মুক্তির পথনির্দেশক মহাগ্রন্থ আল কুরআন ও তার সুন্নাহকে সমুজ্জ্বল রেখে ৬৩ বছর বয়সে জন্মের তারিখেই অর্থাৎ ১২ই রবিউল আউয়াল তিনি ইনতেকাল করেন। সুতারাং রবিউল আউয়াল মাসটি নবী কারীম সা. -এর জন্মের কারণে আনন্দের এবং এ মাসের একই তারিখে ইনতেকালের কারণে বেদনার মাসও।
শিক্ষক: সৈয়দ হাতিম আলী উচ্চবিদ্যালয়, সাদিপুর, শিবগঞ্জ, সিলেট।