আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: একজন জানতে চেয়েছেন, কিছু ভিন্নমতালম্বী ভাই প্রায়ই ঠাট্টা করেন যে, ইমাম আবু হানিফা রহ. ফারসি ভাষায়ও নামায পড়ার ফতোয়া দিয়েছেন। আসলে কি তিনি এমনটা করেছেন নাকি এটা তার ওপরে একটি অপবাদ ? আর যদি এই ফতওয়া দিয়েই থাকেন তবে বিস্তারিত জানতে চাই। এবং আরবী ব্যতিত অন্য ভাষায় নামাযের হুকুম কি হবে এটাও জানতে চাই।
উত্তর: ইমাম আবু হানীফা রহ. নামাযে ফার্সি ভাষায় নামায শুদ্ধ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়েছিলেন। কিন্তু ইমাম আবূ ইউসুফ রহ. এবং ইমাম মুহাম্মদ রহ. আরবি ছাড়া অন্য ভাষায় নামায পড়লে নামায শুদ্ধ হবে না বলেই মত দেন। অবশেষে ইমাম আবূ হানীফা রহ. ইমাম আবু ইউসুফ রহ. এবং ইমাম মুহাম্মদ রহ. এর অভিমতের দিকে রুজু করেছেন।
তিনি ফাতওয়া দিয়েছিলেন এবং সেই ফাতওয়া থেকে রুজুও করেছেন। সুতরাং এখন সেই কথা পেশ করে প্রশ্ন উত্থাপন করা অজ্ঞতা বৈ কিছু নয়।
যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলেন। পরবর্তীতে অনুমতি প্রদান করেছেন।
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর প্রথম প্রথম বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায পড়তেন। তারপর তা পরিবর্তন হয়ে বাইতুল্লাহর দিকে ফিরে নামায পড়েছেন।
ইসলামের শুরু যুগে নামাযে কথা বলার অনুমতি ছিল। পরবর্তীতে তা নিষিদ্ধ করা হয়।
এখন কোন ব্যক্তির জন্য এটা বৈধ নয় যে, কবর যিয়ারত নিষিদ্ধতার আগের হাদীস পেশ করা। তেমনি বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায পড়ার অনুমতি নবীজী দিয়েছেন বলা। নামাযে কথা বলার অনুমতি প্রদানের কথা বলাটাও নবীজীর উপর একটি অপবাদ হবে।
তেমনি ইমাম আবূ হানীফা রহ. যে মত থেকে রুজু করেছেন, সেই মতটিকে সামনে এনে, যে মতটিকে পরবর্তীতে প্রাধান্য দিয়েছেন, এবং যে মতের উপর হানাফী মাযহাবের ফাতওয়া সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা একটি ই্চ্ছেকৃত প্রতারণা বৈ কিছু নয়।
প্রথম খণ্ডের ৫২৯-৫৩১ পৃষ্ঠায় স্পষ্টভাবেই ইমাম আবু হানীফা রহ. তার মত থেকে রুজু করেছেন মর্মে উল্লেখ করেছেন।
সুতরাং পরিত্যাজ্য মতটিকে ইমাম আবূ হানীফা রহ. এর মত বলা ইমাম আবূ হানীফা রহ. এর ওপর একটি অপবাদ।
বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায পড়তে, কবর যিয়ারত না করতে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন বলাটা যেমন অপবাদ। -সূত্র, আহলে হক মিডিয়া
ويروى رجوعه في أصل المسألة إلى قولهما وعليه الاعتماد (هداية-1\49)
কেএল/