আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া অতি জোয়ারের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের ১০ নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে, নগরীর বটতলা, মুন্সি গ্যারেজ, মুসলিম গোরস্থান রোড, কালিবাড়ি রোড, অক্সফোর্ড মিশন রোড ও ভাটিখানাসহ অন্তত অর্ধশতাধিক এলাকার সড়ক এখন পানির নিচে।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদফতরের অবজারভার মাসুদুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে সঞ্চালনশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে। আর মৌসুমি বায়ু মোটামুটি সক্রিয়। নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় ১ থেকে ২ ফুট পানি বেড়েছে। এছাড়া সমুদ্রবন্দরে ৩ ও নদীবন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম সময় সংবাদকে জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টির কারণে দক্ষিণাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ১০টি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য মতে বরিশাল নগরীসংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ ছাড়া ভোলা খেয়াঘাটসংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখানের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৪ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিনের সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটার বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ও উমেদপুরের কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
-এএ