শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ২৩ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
‘নামাজী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে অপরাধপ্রবণতা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে’ আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তিকে আগামীর ইসলামের জন্য কাজে লাগাতে হবে: আজহারী বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সভাপতি পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন ‘কুরআনের সাথে সম্পৃক্ততা মানুষকে আলোকিত করে’ মসজিদে হারাম ও নববীতে তারাবি পড়াবেন ১৫ ইমাম সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে দেশবাসীকে নিয়ে আন্দোলন হবে : সিইসি স্থানীয়-জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জামায়াত আমির ইসলামবিরোধী অপতৎপরতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নেজামে ইসলাম পার্টির চীন সফরে যাচ্ছেন মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন কালেমা তাইয়্যেবা হচ্ছে ঐক্যের মূল সূত্র: খেলাফত আন্দোলন ঢাকা মহানগর

‘আকাবির-আসলাফের ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের মানসিকতা তৈরি করতে হবে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মাওলানা তোফায়েল গাজালী ||

ঢাকার বারিধারা মাদরাসার শায়খুল হাদিস আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক’র জাদুকরি বয়ানের একনিষ্ঠ ভক্ত আমি। বাংলা ভাষার সঙ্গে সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা ও উর্দু, ফার্সি, আরবির মিশেল তার তথ্য ও তত্ত্বপূর্ণ আলোচনা যে কারো হৃদয় টানে।
হুজুরের গুরুত্বপূর্ণ নসীহায় আমার স্মৃতি টইটম্বুর। সম্ভবত ২০০৬/৭ সালে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি আমাদেরকে বলেছিলেন, ‘তার চেয়ে বড় আহম্মক আর কে হতে পারে, যে সারাদিন পথে পথে ঘুরে মানুষের সঙ্গে গল্প করে বেড়ায়—অমুক জমিদারি আমার বাবার ছিলো, ওইটা আমার দাদার ছিলো, আমি অমুকের পুলা, অমুক চৌধুরীর নাতি। অথচো বাস্তবিক অর্থে বাপ দাদার জমিদারি রক্ষার জন্য বা পুনরুদ্ধারের জন্য তার না কোনো পদক্ষেপ আছে, না চিন্তা আছে।’

বাংলাদেশের অধিকাংশ ইসলামি রাজনৈতিক সংগঠনগুলো আজ এরকম কিছু জমিদারের পুলাদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে— যারা কথায় কথায় বলে, আমাদেরকে চিনিস! আমরা আকাবিরের আমানত। আমাদের বাবা অমুক আকাবির। দাদা ছিলেন অমুক আন্দোলনের নেতা। আমরা এদেশ থেকে ব্রিটিশ বিতাড়ন করেছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় আমরা এটা করেছি, সেটা করেছি। পাকিস্তান এসেম্বেলির মেম্বার ছিলেন আমার দলের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের পার্লামেন্টে আমাদের নেতা এই ভূমিকা রেখে গেছেন ইত্যাদি ইত্যাদি।

কার্যত আকাবির ও আসলাফের জমিদারির পুনরুদ্ধার , সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ করার মানসিকতাও তারা লালন করেন না। যা করেন, সেটা হলো প্রাচীন জাহেলিয়াতের বংশীয় কৌলিন্যের মতো করে দলীয় কৌলিন্য ও ধর্মান্ধতার মতো করে দলান্ধতা। ফলে তাদের কথা কাজে যা প্রকাশ পায় তাহলো—অহমিকা, আত্মগরিমা ও আত্মতুষ্টি যার পরিণতিতে ঘৃণা, হিংসা, বিদ্বেষ ও বিভেদের জন্ম হয়।

তাদের সোজাসাপ্টা বক্তব্য, আমার দল করলেই জান্নাত। আমার দরবারের মুরিদের জন্য বেহেশতের আটটি দরজা খোলা। অন্য দল অন্য দরবারের লোক হলেই হালাকত আর ধ্বংসের ফতোয়া।

সবচেয়ে বড় লজ্জা হলো—দীন প্রতিষ্ঠার অভিন্ন দাবীতে মাঠে আসা দলগুলো আরেক দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে দ্বিধা করে না। ঈমানি আন্দোলনের এসব কর্মীরা কখোনো মুখোমুখিও দাঁড়িয়ে যান। সংঘাত ও সংঘর্ষের জন্মও দেন। এরচেয়ে বড় আফসোস আর কী হতে পারে!

আমার কাছে যা মনে হয়েছে — ইসলামি রাজনীতির মূল কনসেপ্টই অধিকাংশ লোকের অজানা। দাওয়াত ও সিয়াসতের এ ময়দানে ভাইয়ে ভাইয়ে প্রতিযোগিতা হবে। প্রতিহিংসা কেন?

শেষ যে কথাটি বলতে চাই তাহলো— ‘দাদার নামে গাধা, বাপের নামে আধা, নিজের নামে শাহজাদা।’ দলীয় সংকীর্ণতার ওপরে ওঠে দয়াকরে এবার অন্তত নিজে কিছু করুন। অমা তাওফিকি ইল্লা বিল্লাহ। -ফেসবুক থেকে নেয়া।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ