আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নাটোরে ভাইরাল হওয়া কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় আটক স্বামী কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীনের আদালতে তোলা হয়। এর আগে মামুনকে ৫৪ ধারায় আটক দেখানো হয়।
অন্যদিকে, রোববার এশার নামাজের আগে বাবার বাড়ি এলাকায় আবু বকর সিদ্দিকী কওমি মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে খামার নাচকৈড় কবরস্থানে খায়রুন নাহারকে দাফন করা হয়।
এর আগে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক (আরএমও) সামিউল ইসলাম শান্ত জানিয়েছিলেন, শিক্ষক খায়রুন নাহারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধ হওয়ার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তারপরও ভিসেরা রিপোর্ট এলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহম্মেদ জানান, খাইরুন নাহারের মৃত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মামুন হোসেনকে আটক করা হয়। পরে তাকে কোর্ট হাজতে রাখা হয়। বিকেলে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীনের আদালতে তোলা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে কলেজছাত্র মামুন ও শিক্ষক খায়রুন নাহার বিয়ে করেন। বিয়ের ছয় মাস পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এর এক বছর আগে ফেসবুকে শিক্ষক নাহারের সঙ্গে একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের কলেজছাত্র মামুনের পরিচয় হয়। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে দুজন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।