আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশের অগ্রযাত্রায় তরুণদের কার্যকরভাবে কাজে লাগাতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ উপলক্ষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলছে- বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১০ দশমিক ৬ শতাংশ। যেখানে জাতীয় পর্যায়ে মাত্র ৪ দশমিক ২ শতাংশ। এসব তরুণদের কর্ম উপযোগী করার বিষয়ে এখনও সমন্বিত উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। যা সত্যিই হতাশার।
তিনি বলেন, দেশে ৪৭ শতাংশ শিক্ষিতই বেকার। দেশে প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা দক্ষতা তৈরিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অথচ, এই সমস্যার সমাধানে সমন্বিত কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। দেশের ভবিষ্যৎ বিবেচনায় এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া সবচেয়ে জরুরি।
বিজ্ঞপ্তিতে এসব সমস্যা সমাধানে টিআইবির পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়।
এগুলো হলো-
আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের চাহিদা অনুযায়ী তরুণ জনগোষ্ঠীকে কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত ও কারিগরিভাবে দক্ষ করে তুলতে হবে।
আর্থিকভাবে অসচ্ছল ও নারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ প্রণোদনার মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষাগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিবন্ধী, আদিবাসী ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে।
জাতিসংঘের সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেওয়ার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে।
স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ প্রণোদনার মাধ্যমে যেসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত থেকে তরুণরা কর্মহীন হয়েছে সেগুলো চালুর উদ্যোগ নিতে হবে।
তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প পেশার (যেমন আউটসোর্সিং, ফ্রিল্যান্সিং) জন্য কর্মহীন তরুণ বা নতুন গ্র্যাজুয়েটদের প্রস্তুত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
সরকারি-বেসরকারি যেসব চাকরির নিয়োগ, পরীক্ষা, যাচাই বন্ধ রয়েছে অবিলম্বে বিশেষ ব্যবস্থায় সেগুলোর প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্যোগ নিতে হবে।
সব চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত এবং মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সমান প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।
করোনার কারণে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনতে সরকারিভাবে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।
তরুণ সমাজসহ সব নাগরিকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য আইন ও নীতিকাঠামোর প্রয়োজনীয় আমূল সংস্কার করতে হবে।
-এএ