আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-এসডিজি অর্জনে সংসদ সদস্যদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এমডিজি অর্জনে সাফল্যের ধারাবাহিকতায় এসডিজি’র ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছে। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা ও নীতি বাস্তবায়নে সহযোগী হিসেবে পার্লামেন্টারিয়ানগণও সক্রিয় অংশগ্রহণ করছেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে ইউএনএফপিএ এর ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এম্বাসেডর ইব পেটারসেনসহ ইউএনএফপিএ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে স্পিকার এ সব কথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই বাংলাদেশে পার্লামেন্টারিয়ানগণ জনগণের কল্যাণে অধিক মাত্রায় আত্মনিয়োগ করছেন।
স্পিকার বলেন, সমকালীন বিশ্বে নতুন নতুন সম্ভাবনা যেমন সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি নতুন নতুন সমস্যারও উদ্ভব হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা, নদী দূষণ, বায়ু দূষণ, কার্বন নিঃসরণসহ নানাবিধ সমস্যা মানুষকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এ সব সমস্যা নিরসনের জন্য পার্লামেন্টারিয়ানদেরও সচেতন ও সচেষ্ট হতে হবে। এই লক্ষ্যে তাদেরকে জনসম্পৃক্ততা আরও জোরালো করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনে তারা তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিও ব্যবহার করতে পারেন।
বাংলাদেশে জনসংখ্যা ও উন্নয়ন ইস্যুতে পার্লামেন্টারিয়ানদের সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়টি তুলে ধরে স্পিকার বলেন, স্পিকারের নেতৃত্বে পঁচিশ জন সংসদ সদস্যের সমন্বয়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পার্লামেন্টারিয়ানস অন পপুলেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট- বিএপিপিডি গঠন করা হয়েছে। বিএপিপিডি মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও পরিবার পরিবল্পনা, বাল্যবিবাহ ও জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ এবং যুব উন্নয়ন ও জনসংখ্যার বহুমাত্রিকতা- এই তিনটি ইস্যুতে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কাজ করে আসছে। এই সব সমস্যা প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কী কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যরা পর্যালোচনা করে করণীয় নির্ধারণ করছেন এবং প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করছেন।
-এএ