আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় গ্যাসের উত্তোলন বাড়াতে বাপেক্স বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান।
আজ মঙ্গলবার জ্বালানি নিরাপত্তা দিবসে অনলাইন আলোচনায় এ কথা জানান তিনি।
আলোচনায় ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীনসরুল হামিদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশে গ্যাস উত্তোলন বাড়াতে হবে।
বিদ্যুৎ, শিল্পখাতসহ সব মিলিয়ে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট। উত্তোলন হয় ২৩০ কোটি ঘনফুট। আর আমদানি করা হয় ১০০ কোটি ঘনফুটের বেশি এলএনজি। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বের স্পট মার্কেটে গ্যাসের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে এখন আসছে মাত্র ৫০ কোটি ঘনফুট।
এ অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেই। ভালো সম্ভাবনা দেখা গেলেও আমলে নিচ্ছে না সরকার। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীও মনে করেন, আমদানিতে বড় অংকের ভর্তুকি এড়াতে এখন উত্তোলনে জোর দিতেই হবে।
গ্যাস রপ্তানি না করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল তা এবার প্রমাণিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
১৯৭৫ সালে বিদেশি প্রতিষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধুর কেনা পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্রে ১৫ টিসিএফ গ্যাস মজুত ছিলো। এর পর আবিষ্কৃত ২১টি ফিল্ডে মেলে মাত্র ১২ টিসিএফ। তাই গ্যাস নির্ভরতা কমাতে বহুমুখী জ্বালানির ওপর জোর দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা।
আলোচনায় বিপিসি চেয়ারম্যান আরো জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে জ্বালানি তেলের বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ টন, যা এক দশক আগেও ছিল ৫০ লাখ টনের কম।
-এটি