আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইভিএম ভোট ডাকাতির মেশিন বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেছেন, যে দেশের মানুষ নিজের হাতে ভোট দিতে পারে না। তারা কিভাবে মেশিনে ভোট দিবে? এই ব্যবস্থা তো বিশ্বে বাতিল করা হয়েছে। কারণ এটা মানুষের তৈরি। সেখানে পেপার ট্রেইল নাই। সুতরাং এটা দূরভিসন্ধিমূলক। এটা ভোট ডাকাতির মেশিন।
আজ বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে 'সরকার ইভিএম-এ নির্বাচন করতে চায় কেনো?' শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান ফ্যাসিবাদ ও গায়ের জোরের সরকারের বশংবদ নির্বাচন কমিশন সংলাপের নামে নাটক করেছে।
আমরাসহ আরও কয়েকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল সংলাপে অংশ নেয়নি। সংলাপে অংশ নেয়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইভিএম এর বিপরিতে মত দিয়েছে। আমরা তো চাই না। সুতরাং এটা তো এখানেই মীমাংসিত হওয়া উচিৎ।
নতুন পদ্ধতিতে ডাকাতি করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে পারে বলে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ভোটকেন্দ্রে গোপন কক্ষে কারা থাকে তারা তো সরকারের লোক। তারাই তো ইভিএমের বাটনে চাপ দিচ্ছে।
তাছাড়া সেটা বাইরে থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। প্রিসাইডিং অফিসারকে ২৫ শতাংশ ভোট কাস্টিং করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। ফলে তিনি তার ইচ্ছে মতো তার থেকেও বেশি ভোট কাস্টিং করে। এটাকে তো ভোট বলেনা। সুতরাং এটা পরিষ্কার যে তারা আবারো নতুন পদ্ধতিতে ডাকাতি করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে পারে। কিন্তু এটা হতে দেয়া যায় না। কারণ যারা দিনের ভোট রাতেই ডাকাতি করতে পারে তারা কি না করতে পারে?
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আর ভোট ডাকাতির সুযোগ দেয়া হবে না। লাখো শহীদের প্রাণ ও রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছি।
কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সেই লক্ষ্য ও চেতনা আজ ভুলুণ্ঠিত। চেতনার ফেরিওয়ালা যারা তারা গণতন্ত্র হত্য করেছে। তারা ৭২-৭৫ সালে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল। এখনো করছে। সুতরাং তাদেরকে ক্ষমতায় রেখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার কীভাবে সম্ভব?
-এসআর