আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পানিস্বল্পতায় কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরও ১৫ দিন বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) বিকেলে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম জলাধার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের বংশবিস্তার ও প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতকরণে প্রতি বছরের ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস সব ধরনের মাছ শিকার, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। এ বছরও একইভাবে নিষেধাজ্ঞার সময় তিন মাস দেয়া হলেও হ্রদে পর্যাপ্ত পানি না বাড়ায় আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত হ্রদে মাছ আহরণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, স্বাভাবিক সময় হিসেবে কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমাণ ১০৫ এমএসএল (মীনস্ সী লেভেল) হলে মাছ ধরা শুরু হয়। কিন্তু এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে বর্তমানে ৯৯ দশমিক ৬ এমএসএল (মীনস্ সী লেভেল) পানি থাকায় সময় বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।
মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া বলেন, হ্রদে পানি কম থাকায় আমরা ২০ দিন সময় বাড়ানোর আবেদন জানাই। পরে আলোচনা করে ১৫ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বলেন, মাছ আহরণের জন্য হ্রদে যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন সেটা এখনো না থাকায় সবার আলোচনার ভিত্তিতে আরও ১৫ দিন সময় বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১০ আগস্ট আবারও সভার মাধ্যমে পরবর্তী নির্দেশনা নেয়া হবে।
কাপ্তাই হ্রদের মৎস্য শিকার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সময় বৃদ্ধিকরণ সভায় জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- বিএফডিসির ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হারুনুর রশীদ, সাধারণ সম্পাদক উদয়ন বড়ুয়া, বনরূপা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবু ছৈয়দ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত বছর পানিস্বল্পতায় ১০ দিন করে তিন দফায় এক মাস নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার সময়ে নিবন্ধিত জেলেরা প্রতি মাসে ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্যশস্য হিসেবে ২০ কেজি করে চাল সহায়তা পান।
-এএ