আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি, হাইয়াতুল উলিয়ার কো-চেয়ারম্যান, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মুফতি মুহাম্মদ ওয়াককাস রহ. প্রতিষ্ঠিত জামিয়া ইমদাদিয়া মাদানীনগর মণিরামপুর, যশোরের উদ্যোগে ও মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা রশীদ বিন ওয়াককাসের তত্ত্বাবধানে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা দুর্গত এলাকায় গত মঙ্গলবার থেকে আজ পর্যন্ত ১৩ শত পরিবারের মাঝে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ ৫২ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
খাদ্যদ্রব্যের পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৮২৪ কেজি চাউল ৯১৫০ কেজি (৯টন, ১৫০ কেজি) পিয়াজ ১৩৬০ কেজি (১টন,৩৬০ কেজি)
আলু ২৬৬৫ কেজি (২টন, ৬৬৫ কেজি) তেল ১৩২৪ কেজি (১টন, ৩২৪ কেজি) লবণ ১৩২৫ কেজি (১টন,৩২৫ কেজি) নগদ টাকা ৫২০০০ বায়ান্ন হাজার টাকা)।
তার সফর সঙ্গী হয়ে এই কাজে অংশগ্রহণ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাদানীনগর মাদরাসার শায়খুল হাদিস মাওলানা হোসাইন বিন ওয়াককাস, জামালগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জমিয়তনেতা মাওলানা রশিদ আহমদ, মুফতি কামরুজ্জামান কাসেমী, মাওলানা আশরাফ ইয়াসিন, মাওলানা আবু বকর সরকার ও মাওলানা হাসান আল মামুন প্রমুখ।
এ বিষয়ে মুফতি মুহাম্মদ ওয়াককাস রহ. এর সুযোগ্য উত্তরসূরী মাওলানা রশীদ বিন ওয়াককাস বলেন, আমরা অতীতেও বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে সাধ্যমতে দাঁড়িয়েছি। আল্লাহর রহমতে আমরা সাধ্যমত বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আমাদের এই কার্যক্রম চলবে। এভাবে যদি সবাই নিজ নিজ স্থান থেকে বানভাসিদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন। ইনশাআল্লাহ।
মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত দান ও আমানত প্রকৃত হকদারদের কাছে পৌঁছে দিতে পারায় মহান রব্বুল আলামিনের কৃতজ্ঞতা আদায় করেন তিনি।
রশীদ বিন ওয়াককাস আরও বলেন, আমরা বানভাসি মানুষের কাছে ত্রান পৌঁছে দেওয়ার সময় দেখছি মানুষ কত অসহায় ও বিপদগ্রস্ত অবস্থায় আছেন। আল্লাহ পাক তাদেরকে এই দুর্দশা থেকে মুক্তি দান করেন।
তিনি সমাজের বিত্তবানদেরকে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
-এটি