আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সুস্বাস্থ্যের জন্যে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ দেহের ভেতরেই তৈরি হয়। আবার প্রতিদিনের খাবার থেকেও এসব উপাদান পাওয়া যায়। খাবার থেকে যেসব ভিটামিন পাওয়া যায় তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হল বি ১২। এই ভিটামিন মানুষের শরীরে তৈরি হয় না। লাল রক্ত কোষ এবং ডিএনএ তৈরির ক্ষেত্রে এই ভিটামিন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
শরীরৈ ভিটামিন বি ১২-এর অভাব হলে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। রক্তশূন্যতাও দেখা দিতে পারে। এর ফলে রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে, অল্প শ্রমেই ক্লান্ত ও হাঁপিয়ে ওঠে, বুক ধড়ফড় করে। ভিটামিন-১২ এর অভাবে পাকস্থলীর সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। হতে পারে কোষ্ঠকাঠিন্য। দীর্ঘদিন ভিটামিন বি ১২-এর ঘাটতির কারণে স্নায়বিক সমস্যা হতে পারে। ফলে হাঁটতে-চলতে এবং ভারসাম্য রাখতে অসুবিধা হয়।
ভিটামিন বি ১২ পানিতে দ্রবণীয় উপাদান। অর্থাৎ দেহের চাহিদা পূরণ হয়ে গেলে অতিরিক্ত ভিটামিন মূত্রের মধ্যে দিয়ে দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। বয়সের উপর ভিত্তি করে এই চাহিদার কম-বেশি হয়।
সারা দিন ক্লান্ত লাগা এবং দুর্বলভাব ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতির অন্যতম লক্ষণ। শরীরে ভিটামিন বি ১২ পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে লাল রক্ত কোষ তৈরি হয় না। ফলে শরীরে অক্সিজেন চলাচল স্বাভাবিক নিয়মে হয় না। এর কারণে প্রায়ই নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঝাপসা দৃষ্টিশক্তিও বি ১২ ভিটামিনের অভাবের আরও একটি লক্ষণ। এই ভিটামিনের ঘাটতি প্রভাব ফেলে বিভিন্ন স্নায়ুতে। তার মধ্যে রয়েছে অপটিক নার্ভও। এছাড়া ফ্যাকাসে ত্বকও ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতির লক্ষণ।
প্রাণিজ খাবারে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে মেলে ভিটামিন বি ১২। ছোড়া দুধ, দই ও দুগ্ধজাত পদার্থ, ডিম, মাশরুম, বিভিন্ন ধরনের মাংস ও কলিজা, টুনা, স্যামন ও বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, ঢেঁকি ছাটা চাল, বিভিন্ন ধরনের গোটা শস্য এবং ডালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ থাকে।
এনটি