আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সা.-কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই নেতার কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী। ভারতের পণ্য বয়কটসহ কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা।
ইত্তেফাকুল উলামা বৃহত্তর মোমেনশাহীর মজশিসে শুরা সভাপতি আল্লামা আবদুর রহমান হাফেজ্জীর সভাপতিত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ইত্তেফাক নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, ইত্তেফাকুল উলামার মজলিসে আমেলার আল্লামা খালিদ সাইফুল্লাহ সাদী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা আনোয়ারুল হক, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মুফতি আহমদ আলী, মাওলানা জাকারিয়া, মুফতি মুহিব্বুল্লাহ, মুফতি মাহবুবুল্লাহ, মাওলানা মোহাম্মদ, মাওলানা গোলাম রাব্বানী, মুফতি আমীর ইবনে আহমদ, মাওলানা মফিজুল ইসলাম, মুফতি শরিফুর রহমান, মুফতি শরিফুল ইসলাম, মাওলানা তাবসীরসহ ইত্তেফাকের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দ।
গতকাল সোমবার (১৩ জুন) দুপুর তিনটায় ময়মনসিংহ বড় মসজিদের সামনে থেকে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। জোহরের নামাজের পর থেকেই দলে দলে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতা সমাবেত হতে থাকে। শহরের বড় মসজিদ মাদরাসা, মাখযান মাদরাসা, জামিয়া ইসলামিয়া, মিফতাহুল উলুম মাসকান্দা, জামিয়া শায়খ আবদুল মোমিন (খানকা মাদরাসা)সহ বিভিন্ন মাদরাসা হতে ছাত্র-শিক্ষক মিছিল নিয়ে সমাবেত হয়।
সাড়ে তিনটায় মিছিল বের হয়ে শহরের স্টেশন মোড়, গাঙ্গিনাপাড়, নতুন বাজার হয়ে টাউন হল মোড় পর্যন্ত মিছিল করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় নবীপ্রেমের বিভিন্ন স্লোগানে মুখরিত হয় শহরজুরে। বিক্ষোভ মিছিলে ব্যাপক সংখক তৌহিদী জনতা অংশগ্রহণ করেন। সাড়ে চারটায় আল্লামা হাফেজ্জীর মোনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিল সমাপ্ত করা হয়।
ইত্তেফাক নেতৃবৃন্দ বলেন, মহানবী (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিজেপির দুই নেতা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে ভারতের ইসলাম বিদ্বেষী অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ধর্মীয় শান্তি বিনষ্টের দায়ে আমরা এই দুই নেতার সর্বোচ্চ শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারতীয় একটি টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নিয়ে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ও তার স্ত্রী আয়েশা (রা.) সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দেন ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নুপুর শর্মা। পরে একই বিষয়ে টুইটারে পোস্ট দলটির আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা দেন নাভিন কুমার জিন্দাল। এ নিয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অনেক মুসলিম দেশ প্রতিবাদ জানায়।
-এটি