আবু তালহা তোফায়েল: সিলেটে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করেছে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ।
শুক্রবার (৩ জুন) দিনব্যাপী সিলেট জেলা, মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলা ছাত্র জমিয়ত নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় জেলার বন্যা দুর্গত উপজেলা সমূহে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।
সহসভাপতি মাইনুদ্দীন মানিকের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মাঝে ছিলেন- সহসভাপতি আহমদুল হক উমামা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর রহমান নাদিম, প্রচার সম্পাদক নূর হোসাইন সবুজ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হুসাইন আহমদ ও সা'দ বিন জাকির।
ত্রাণ বিতরণ কালে সহসভাপতি মাইনুদ্দীন মানিক বলেন, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের স্থায়ী পাঁচ দফা কর্মসূচির অন্যতম হলো- খেদমতে খালক বা সমাজসেবা। দেশের যেকোনো সংকটকালীন মুহুর্তে মানবতার কল্যাণে সর্বদাই তৎপর ছাত্র জমিয়ত। অতীতেও বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ মুহুর্তে আর্ত মানবতার সেবায় বরাবরই তৎপর ছিলো ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ। তারই অংশ হিসেবে সংকটের শুরু থেকেই সিলেটের বন্যা দুর্গতদের সহায়তায় ধারাবাহিক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ছাত্র জমিয়ত। সেই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ছাত্র জমিয়তের আজকের ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বন্যাদুর্গত অঞ্চলের অসহায় মানুষজন অনাহার অনিদ্রায় দিন কাটাচ্ছেন। অনেকের ঘরে খাবার নেই। কারো কারো ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে গেছে। অধিকাংশ কৃষকের ফসলাদি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। চিকিৎসার অভাবে এসব এলাকার মানুষজন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। তিনি বলেন ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় ত্রান সহায়তা একেবারেই অপ্রতুল। সরকারি ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় নেই বললেই চলে।
ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলকে দুর্গত অঞ্চল ঘোষণা দিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষের মাঝে প্রয়োজনীয় খাদ্য, অসুস্থ মানুষের মাঝে চিকিৎসা সামগ্রী, ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়া মানুষের পুনর্বাসন ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুর্নবাসনে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে অবিলম্বে উদ্যোগ গ্রহণ করার দাবি জানান ছাত্র জমিয়তের এই নেতা।
-এএ