আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: গাজীপুরের শ্রীপুরে সুদের টাকা দিতে না পারায় এক রিকশাচালককে নির্যাতন করা হয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার টেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি গ্রামে বুধবার বিকালে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি দেখা যায়, এক যুবককে শিকলে বেঁধে পায়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ সময় নির্যাতনে শিকার যুবক বাকবন্ধ করে ফেলফেল চেয়ে থাকে। এ সময় তাকে ঘিরে বহু লোক দাঁড়িয়ে থেকে এমন নির্যাতনের ঘটনা দেখেন। কেউ কৌশলে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযযোগমাধ্যমে ছেড়ে দিলে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
নির্যাতনে শিকার যুবক মোফাজ্জল হোসেন (৩৫) পেশায় রিকশা চালক। টেপিরবাড়ি গ্রামের হাবিজুল ইসলাম এমন বর্বর নির্যাতন চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাবিজুল ইসলামের কাছ থেকে রিকশাচালক আড়াই হাজার টাকা ধার নেয় বেশ কিছু দিন আগে। এর মধ্যে নিয়মিত সুদ দিয়ে আসছিল রিকশাচালক মোফাজ্জল। কিন্তু গত দুই তিন মাস ধরে আয় খারাপ হওয়াতে সুদ চালাতে পারছিল না। পরে সুদের জন্য চাপ দিচ্ছল হাবিজুল। আজ এ নিয়ে কথাকাটাটির এক পর্যায় রিকশাচালককে শিকলে বেঁধে রাখে। সুদের টাকার জন্য ক্ষিপ্ত হয়ে এমন অমানবিক নির্যাতন চালায় সুদ ব্যবসায়ী। এমন ঘটনায় সাধারণ মানুষ উপস্থিত থাকলেও প্রতিবাদ করেনি কেউ। পরে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসলে সবাই পালিয়ে যায়।
নির্যাতনে শিকার মোফাজ্জল হোসেন বলেন, দুই হাজার পাঁচশত টাকা সুদে ধার নিয়েছিলাম। নিয়মিত সুদ চালালেও হঠাৎ করে আয় কমে যাওয়াতে সুদের হারমত টাকা দিতে পারছিলাম না। সুদের টাকার জন্য আমাকে শিকলে বেঁধে রাখে। এ সময় নির্যাতনও চালানো হয় বলে তিনি জানান।
অভিযুক্ত নির্যাতনকারী হাবিজুল ইসলাম জানান, সুদের টাকা না পাওয়াতে একটু চাপে রাখতে এমনটি করা হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়টি এতো জটিল হবে বুঝতে পারিনি। এমন ভুল আর হবে না।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি মনিরুজ্জামান রাতে মুঠোফোনে জানান, এমন কোনো বিষয়ে কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে আসেনি। আমরা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
এনটি