আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে। পানি নেমে যাওয়ায় মানুষ নিজ নিজ বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। তবে কাঁচা ঘরবাড়ি, মাটির ভিটে, টিন শেডে বসবাস করা নিম্ন আয়ের মানুষের বসতঘর কাদামাটিতে ডুবে থাকায় বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
টানা কয়েক দিন পানি জমে থাকায় মেঝে, বেড়াসহ আসবাবপত্রের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। মেজেতে ইট, কাঠ, বস্তা ফেলে চলাচল করছেন তারা। বানের পানিতে রান্নার চুলা নষ্ট হয়ে যাওয়ার অস্থায়ী চুলাতে রান্নাবান্না করছেন।
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বন্যায় জেলায় এক হাজার ১০০ হেক্টর জমির বোরো ধান, আউশের বীজতলা ১৩০ হেক্টর, আউশ ধান ৩০ হেক্টর, সবজি ৭০ হেক্টর, বাদাম ৯৫ হেক্টর তলিয়ে যায়। এসব ক্ষেত এখনো নিমজ্জিত আছে। এতে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুনীল মণ্ডল জানিয়েছেন, জেলায় এক হাজার ৩১০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে এক হাজার ১৪৭ খামারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। এসব খামারের আয়তন ১৭৪ হেক্টর। মাছের পরিমাণ ১৬৮ টন। আর পোনা ভেসে গেছে ৫০ টনের মতো।
তবে আর্থিক বিবেচনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পাকা রাস্তার। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তথ্য মতে, বন্যায় জেলার ২৭২ কিলোমিটার সড়ক ও তিনটি সেতু-কালভার্ট বিধ্বস্ত হয়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে, কোথাওবা ভেঙে গেছে, বিটুমিন ও আরসিসি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক জায়গায়। তাছাড়া তিনটি সেতু ও একটি রাবার ড্যাম ধসে গেছে। এতে প্রায় ৯০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
-এএ