আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক সাক্কু দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তার মনোনয়ন বৈধ হওয়ার পর বিএনপি থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক কুসিক মেয়র।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ১৫৪ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ৬ মেয়র প্রার্থী, ১১১ জন সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর এবং ৩৭ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে এ যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দিনভর যাচাই-বাছাই শেষে বিকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী বৈধ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এর আগে গত ১৭ মে মনোনয়নপত্র জমা দেন মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ওই দিন ছয় মেয়র প্রার্থীসহ মোট ১৬৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ১২০ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৩৮ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ছিলেন।
মেয়র পদে বৈধ প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত, সদ্যবিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা অধ্যক্ষ আফজাল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান (স্বতন্ত্র), নিজাম উদ্দিন কায়সার (স্বতন্ত্র), ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম, নাগরিক কমিটির কামরুল আহসান বাবুল (স্বতন্ত্র)। এর আগে সকালে তথ্যগত ভুলের কারণে মাসুদ পারভেজ খান ইমরানের মনোনয়নপত্র স্থগিত রাখা হয়। পরে সেটি পূরণ করা হলে বিকালে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে কুসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী জানান, আগামী ২০, ২১ ও ২২ মে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আপিল গ্রহণ করা হবে। ২৩ মে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ২৭ মে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করতে পারবেন। ১৫ জুন ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২ লাখ ২৭ হাজার ৭৯২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১১ হাজার ৬০০ ও নারী ১ লাখ ১৬ হাজার ১৯১ জন।
এনটি