আব্দুর রউফ আশরাফ: হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ৭নং বড়ইউড়ি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক ওয়ার্ড মেম্বার হাজী আব্দুস সালাম রোববার (১৫ মে) রাত ১০. ৪০ মিনিটে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন।
জানা যায়, তিনি রাজনৈতিকদল হিসাবে দীর্ঘদিন বিএনপির ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের নিরলস দায়িত্বশীল কর্মী ছিলেন। ৭ নং বড়ইউড়ি ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার ছিলেন। জামিয়া হলদারপুর মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির দীর্ঘদিনের সভাপতি ছিলেন। জীবনের শেষ প্রান্তে তিনি মুসল্লিয়ান ও ধর্মভীরুদের কাছে একজন নিভৃতচারী আল্লাহভক্ত মুসল্লি ছিলেন।
জামিয়া হলদারপুর মাদরাসা, মসজিদের একনিষ্ঠ খাদেম ও দায়েমী মুসল্লি ছিলেন। তাবলীগ জামাতের আমীর ছিলেন। তিনি প্রায় বৎসরখানেক পূর্বে তাবলীগ জামাতের নিছবতে চিল্লা লাগাতে যান। চিল্লা থাকাবস্থায় স্ট্রোক করেন। আমরণ অন্যায় অনৈতিক অনৈসলামিক কার্যাকাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
সোমবার (১৬ মে) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জামিয়া হলদারপুর ময়দানে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। অসংখ্য আলেম-উলামা, সমাজসেবক রাজনৈতিক ও সর্বস্তরের মানুষের উপস্থিতিতে জানাজার নামাজ সম্পন্ন হয়।
মরহুম হাজী আব্দুস সালামের জানাজায় বক্তব্য রাখেন বানিয়াচং-আজমিরিগঞ্জের এমপি আব্দুল মজিদ খান, বড়ইউড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফরিদ আহমদ, বিএনপির উপজেলার সিনিয়র সভাপতি মোস্তফা আল হাদী, বানিয়াচং উপজেলার সাধারণ সম্পাদক নকিব ফজলে রকিব মাখন, লুৎফুর রহমান, শায়খুল হাদীস ইমাম উদ্দীন, মোহাম্মদ আফজল, মাওলানা আব্দুশ শহীদ, মাওলানা মাসুদ খান, মাওলানা শিব্বির আহমদ, আব্দুস সালামের ছোট্র ছেলে সোহেল আমীন।
হাজী আব্দুস সালামের বড় ছেলে রাজনৈতিক ব্যবসায়ী আলেম রুহুল আমীন ইন্ডিয়া থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মুসল্লিদের উদ্দেশে অভিব্যক্তি পেশ করেন এবং সবার কাছে তার পরিবার ও বাবার মাগফেরাত কামনায় দোয়া চেয়েছেন।
-এএ