রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


গোয়াইনঘাটে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত: উপজেলা সদরে যোগাযোগ ব্যাহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা
গোয়াইনঘাট সিলেট>

কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাটে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে। নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কোন কোন এলাকার রাস্তাঘাট ভেঙে এবং তলিয়ে গিয়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার পাশাপাশি মানুষের বসতবাড়িসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্লাবতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ২৬ মার্চ আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে প্রথমে ৫০ হেক্টর এবং পরবর্তীতে ৫০০ হেক্টর বোরো ধান তলিয়ে যায়। আর অ-সময়ে এমন দফায় দফায় বন্যার কবলে পড়ে উপজেলাবাসীর মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিপাত ও ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গোয়াইনঘাটের ডাউকি, সারি এবং পিয়াইন নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার সীমান্তবর্তী রুস্তমপুর, পূর্ব জাফলং, পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং, গোয়াইনঘাট সদর ও পূর্ব আলীরগাঁও এবং পশ্চিম আলীরগাঁও, ডৌবাড়ী ইউনয়নের অধিকাংশ এলাকাসহ উপজেলার সবকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়। এতে তলিয়ে যায় উপজেলা সদরের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা থেকে যোগাযোগের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ গ্রামীণ জনপদের অধিকাংশ এলাকার রাস্তাঘাট। একই সঙ্গে প্লাবিত হয়ে পড়ে মানুষের বসতবাড়িসহ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এদিকে পিরিজপুর সোনার হাট রাস্তায় উনাই ব্রীজ নির্মান কাজ চলার কারনে তৈরিকৃত বাইপাস (ডাইবারসন রাস্তা)টি তলিয়ে যাওয়ায় গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন ২টি ইউনিয়নের মানুষ ৷ বন্যায় প্রায় ৩০% পাকাধান তলিয়ে গেছে, যার ফলে চরম দূশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকগণ, এর মধ্যে আবার অনেকের ঘর বাড়িও তলিয়ে গেছে ৷ গত মাসে বুরো ধান কাটার মৌসুম শুরুতেই আকষ্মিক বন্যায় গোয়াইনঘাটের প্রায় ৫০% ধান নষ্ট করে যায়।

উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সারী-গোয়াইনঘাট, ফতেহপুর-হাকুরবাজার, রাধানগর-গোয়াইনঘাট সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এসব এলাকা থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে গেছে। বেশকিছু রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। ইতোমধ্যে আমি বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং সবকটি ইউনিয়নের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করছি। বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে প্রয়োজনীয় সহায়তার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত হলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর