আদিয়াত হাসান: সময়ের পরিবর্তনে বাংলা বানানে আসছে নানা পরিবর্তন। এ তালিকায় ক্রমেই যুক্ত হচ্ছে ইসলামী ঐতিহ্যের বেশকিছু শব্দ। এর মধ্যে অন্যতম মুসলমানদের আনন্দের ধারা ‘ঈদ’। বাংলা একাডেমিসহ কিছু বাংলা ভাষাবিদের দাবি ‘ঈদ’ শব্দটি যেহেতু বিদেশি শব্দ তাই এর শুদ্ধ বানান হবে ‘ইদ’। প্রচলিত ‘ঈদ’ বানানটি সঠিক নয়।
এবার ‘ঈদ’ বানানে পরিবর্তনের দাবি তোলা সাহিত্যিক ও ভাষাবিদদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন স্কলার ও শিক্ষাবিদ মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী।
তিনি বলেন, বিশুদ্ধ আরবী শব্দ عيد ঈদের সমান্তরালে হাজার বছরের ইসলামী ঐতিহ্য ও সাহিত্য বিনাশী 'ইদ' শব্দ প্রচলনের হীন চক্রান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ _ সৎসাহস থাকলে আসুন বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে...।
শব্দটির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, কলকাতার ধ্বজাধারী বুদ্ধিজীবীরা বা বাংলা একাডেমী যাই বলুক, একজন প্রাথমিক স্তরের মাদরাসা শিক্ষার্থীও জানে যে, আরবী ও বাংলায় (ইদ id عد) বানান এবং অর্থ ১০০% অশুদ্ধ এবং ভুল। সঠিক অর্থ এবং শুদ্ধ বানান হচ্ছে (ঈদ Eid عيد)।
তিনি জানান, যারা আরবী ফারসী তুর্কী উর্দু ইংরেজী হিন্দী থেকে বাংলায় রূপান্তরিত হয়ে একীভূত হয়ে যাওয়া শব্দগুলোকে নানা কৌশলে এবং বানান বৈষম্য সৃষ্টি করে বিদেশী ট্যাগ লাগাচ্ছেন, যারা ৯৭% পারসেন্ট ইসলামী ঐতিহ্যবাহী শব্দকে বাংলাভাষার বাইরে ঠেলে দিতে আগ্রহী , তারাও জ্ঞান শিক্ষা ও বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে সম্মত থাকলে আওয়াজ দিন। সেন্টার ফর দাওয়াহ এণ্ড কালচার টিম প্রস্তুত।
এদিকে তার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় জানা যায়, 'ইদ'পন্থী সকল পণ্ডিত ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের সাথে যে কোনো স্থানে যে কোনো অংকের পরিমাণ নির্ধারণ করে ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি ও ভাষাতাত্ত্বিক বিতর্কে প্রস্তুত রয়েছেন তিনি।
-কেএল