আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মৌলভীবাজারে এক গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি চন্দন ধর (৪৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ রোববার ভোরে তাকে জেলার জগৎশী গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম অর রশীদ তালুকদার বলেন, 'এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত চন্দন ধর (৪৫) শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের স্টেশন সড়কের বাসিন্দা হিমাংশু ধরের ছেলে।'
তিনি জানান, এর আগে ওই কিশোরীকে নির্যাতনের অভিযোগে চন্দনের মা ও স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ।
শ্রীমঙ্গল উপজেলার পৌর শহরের একটি বাসা থেকে গতকাল বিকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। গত দেড় বছর ধরে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
গতকাল রাতেই এ ঘটনায় মামলা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, 'ঘটনাস্থল থেকেই ২ নারীকে আটক করা হলেও অভিযুক্ত চন্দন ধর তখন পালিয়ে যায়।'
ওই কিশোরী জানান, ওই বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেওয়ার কিছুদিন পরেই চন্দন ধর তাকে ধর্ষণ করেন এবং তা ভিডিও করেন। পরবর্তীতে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দেড় বছর ধরে চন্দন ওই গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করে আসছেন। সব কিছু জেনেও গৃহকর্ত্রীসহ বাড়ির অন্য কেউ এতে বাধা দেননি।
তিনি আরও জানান, গতকাল সকালে চন্দন তাকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। এরপর শারীরিক নির্যাতন করে তার হাত-পা বেঁধে একটি রুমে ফেলে রাখেন চন্দন।
এসময় ওই কিশোরী চিৎকার করলে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হুমায়ুন কবির বলেন, 'ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।'
এনটি