মিছবাহ উদ্দীন আরজু
মহেশখালী প্রতিনিধি>
মহেশখালী কালারমারছড়া ইউনিয়নের পূর্ব আঁধার ঘোনা গ্রামের ছেলে সিরাজুল মোস্তাফা আপেল। পড়াশোনা করছেন ডিপ্লোমা ইন ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। সিরাজুল মোস্তফা বাড়িতেই তৈরি করেছেন অত্যাধুনিক ফায়ার নির্বাপক ড্রোন, বঙ্গবন্ধু ডিটিএমএফ ও জলজ সংকেত এবং ডিজেল ইঞ্জিন ধারা চতুর্ঘাত জাহাজ সঞ্চলনের মতো ছোট ছোট দর্শনীয় প্রকল্প।
এসব ছোট ছোট উদ্ভাবনী প্রকল্প তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন সিরাজুল মোস্তাফা আপেল। সরকারি সহায়তায় সুযোগ পেলে উজ্বল ভবিষ্যৎ দেখছেন তার পরিবার ও এলাকাবাসী।
বাংলাদেশের কোথাও অগ্নিকাণ্ড হলে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনগুলোতে সর্বোচ্চ ৫০ তলা ভবনের ত্রিশ থেকে চল্লিশ তলা পর্যন্ত আগুন নেভানোর যন্ত্র থাকলেও সিরাজুল মোস্তাফা আপেল তৈরি করেছেন সর্বোচ্চ ১০০ তলা পর্যন্ত আগুন নেভানোর যন্ত্র। এছাড়াও তার এ প্রকল্পের একই স্টেশনে থাকবে ফায়ার নির্বাপক ড্রোনও। এটি ছাড়াও দেশে ২ ঘাত বিশিষ্ট ইঞ্জিনের জাহাজ থাকলেও আপেলের অপর একটি প্রকল্পে থাকছে চতুর্ঘাত ইঞ্জিন ধারা তৈরিকৃত জাহাজও।
সিরাজুল মোস্তাফা আপেল জানান, 'পরিকল্পনা রয়েছে আগামিতে রাস্তার গাড়ি রোধক নিয়ে আধুনিক প্রকল্প নিয়ে একটি প্রজেক্ট তৈরি করবেন। ইতোমধ্যে সেটি নিয়ে গবেষণাও শুরু করেছেন তিনি।
আপেল জানান, পারিবারিক সমর্থন না পেলে এতদূর আসা সম্ভব হত না। বিশেষ করে বড় বোন রোকসানা আকতার ও পিতা বেলাল হোসেনের কথা অনস্বীকার্য। সরকার তার পাশে দাড়ালে বড় কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান আপেল।
পঞ্চম শ্রেনী থেকে প্রযুক্তির প্রতি দূর্বল এ গবেষণাধর্মী ছাত্র এখন স্বপ্ন দেখছেন বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের। প্রয়োজন শুধু সরকারি সহায়তা।
-এএ