শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে গাঁজা নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়র মারামারি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গাঁজা সেবনের অভিযোগ নিয়ে সিনিয়র ও জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

গত সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার আশিষ ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের একটি কক্ষে গাঁজা সেবনের অভিযোগ করায় এক জুনিয়র শিক্ষার্থীকে মারধর করেন ইইই বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জিয়াউর রহমান জিয়া।

আশিষ সময় নিউজকে জানান, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হলের ৩০৮ নম্বর কক্ষে থাকেন। সোমবার রাতে তার রুমমেট ইইই বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সজলের রেফারেন্সে জিয়া কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তার রুমে আসেন। পরে জিয়া তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন মিলে সেখানে তাস খেলতে বসেন।

কিছুক্ষণ পর রুমে কাউকে আসতে বলেছে কি না আশিষ তার রুমমেট সজলকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে আসতে বলিনি তবে ওরা বিভাগের ছোট ভাই।’

আশিষ জানান, তাস খেলার এক পর্যায়ে সাদ্দাম হোসেন হলের ডাইনিং বয় রাসেলও সেখানে উপস্থিত হয়। পরে তারা সকলে মিলে গাঁজা প্রস্তুত শুরু করলে আশিষ পুনরায় সজলকে ফোন দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন।

এসময় সজল জিয়ার সাথে কথা বলে তাদেরকে রুমের ভেতরে গাঁজা খেতে নিষেধ করেন। আশিষ তার রুমমেটকে গাঁজার কথা জানানোর কারণে জিয়া আশিষকে মারধর করে রুম থেকে বেরিয়ে যান।

তিনি বলেন, ‘আমি তাদের সাথে খারাপ আচরণ করিনি। গাঁজার বিষয়টি রুমমেটকে জানানোর কারণে আমাকে মারধর করা হয়েছে। প্রথমে আমাকে লাথি মারে, পরে ধাক্কা দিয়ে বেডে ফেলে দেয়।’

অভিযুক্ত জিয়া বলেন, ‘ভুল-বোঝাবুঝির ফলে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। সে আমাকে মাদকের কথা বলে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। আমার সহপাঠী-বন্ধু কেউ বলতে পারবে না, আমি মাদক সেবন করি।’

এ দিকে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ভুক্তভোগী আশিষের বন্ধুরা ক্যাম্পাসের ঝাল চত্বরে অভিযুক্ত জিয়াকে মারধর করেন।

এ বিষয়ে জিয়া সময় নিউজকে বলেন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আশিক, সাইমন ও নাইমসহ আরও তিনজন সকলের সামনে আমাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে প্রক্টর প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তবে এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ