আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার দুই সপ্তাহের জন্য স্কুল ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল ও কলেজ খোলার কথা থাকলেও ছুটি কমপক্ষে আরও দুই সপ্তাহ বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে, অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে দিন দিন স্কুল-কলেজ খোলার চাপ বাড়ছে। এর মধ্যে ইউনিসেফ যেকোনো উপায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা নেবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
স্কুল-কলেজ বন্ধের পর অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম এবং অনলাইনে ক্লাস চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে, এই পদ্ধতিতে বৈষম্য দেখা দিয়েছে বলে ইউনিসেফও মনে করে। ওমিক্রন থেকে মানুষকে রক্ষায় স্কুল-কলেজ বন্ধসহ কিছু বিধিনিষেধের শর্ত দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। তবে স্কুল-কলেজ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়নি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম জোরদার করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রাখার চিন্তা করা হয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শুধু স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বগতি। তবে দু’দিন ধরে স্থিতিশীল। অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলারও চাপ আছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে ধাপে ধাপে ছুটি বাড়ানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে আপাতত আরও দুই সপ্তাহের জন্য স্কুল-কলেজগুলো বন্ধ ঘোষণা আসতে পারে। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির আগেই আরও ২-৩ দিন দেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকেই নেওয়া হবে।
এদিকে অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি না বাড়ানোর দাবি উঠেছে। অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিয়াউল কবির দুলু বলেন, শিক্ষার্থীদের যেমন ঝুঁকির মধ্যে ফেলা যাবে না তেমনি সংক্রমণ কমে গেলে ঘরে বন্দি রাখাও ঠিক হবে না। কারণ শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ক্ষতি হচ্ছে এবং মানসিক দিক দিয়েও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সংক্রমণ কমতে থাকলে আগামী আরও ৩-৪ দিন দেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। আর একান্তই ছুটি বাড়াতে হলে তা ১৫ দিনের বেশি না করাই ভালো।
এনটি