আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মাদরাসার মুহতামিমসহ সাধারণ শিক্ষকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অনিয়মের কারণে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন নারায়ণগঞ্জের জামি’আ আরাবিয়া দারুল উলূম দেওভোগ মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ নেওয়াজ ।
মাদ্রাসার উন্নয়নের কাজ নিয়ে মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ নেওয়াজ মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আবু তাহের জিহাদীকে গালি দিলে ছাত্ররা শাহনেওয়াজকে অবরুদ্ধ করে শনিবার (২২ জানুয়ারি) সকাল থেকে তার পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এক পর্যায়ে শাহনেওয়াজ অধ্যক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করেন। পরে তাকে বের হয়ে যেতে দেন ছাত্ররা। শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ নেওয়াজ বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, মাদ্রাসার হুজুরদের অশ্লীল ভাষায় গালি দেওয়া হয়। মাদ্রাসার ফান্ডে পর্যাপ্ত টাকা থাকা সত্বেও করোনাকালীন সময়ে হুজুরদের অর্ধেক বেতন দেওয়া হয় এবং বোনাস দেওয়া হয় না।
ছাত্ররা আরো জানায়, মাদরাসার শিক্ষকদের নিজের খাবার নিজে উঠিয়ে খেতে হয়, কিন্তু শাহ নেওয়াজ মাদ্রাসার স্টাফদের জন্য ব্যাক্তিগত খাদেম নিয়োজিত রেখেছে।
মাদ্রাসার মাহফিল, খতমে বুখারীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সে হস্তক্ষেপ করতো এবং মাদ্রাসার বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সে নিজে করেও ইচ্চেমতো ভাউচার দিত।
ছাত্ররা আরো জানায়, কোন উস্তাদ অসুস্থ হলে সামান্য গরম পানির ব্যবস্থা বন্ধ করে দিয়েছে শাহ নেওয়াজ।
এছাড়াও মাদ্রাসা বন্ধ থাকা কালীন প্রয়োজনেও উস্তাদ ও ছাত্রদের মাদরাসা প্রবেশে বাঁধা দিত শাহ নেওয়াজ। কমিটি থেকে দানশীল, পরহেজগার, শুভাকাঙ্খী লোকদের কৌশলে বহিস্কার করে, তার পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিয়েছিল।
‘তার ব্যাক্তিগত লোকদেরকে মাদ্রাসায় নিয়ে এসে মাদরাসার টাকা দিয়ে বিশেষ খানার আয়োজন করত। মাদ্রাসার যে কোন উন্নয়নে নগ্ন হস্তক্ষেপ করে মুহতামিমকে না জানিয়ে তার ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক বিদায় এবং দায়িত্ব দেয়া হত।
জানা গেছে, মাদরাসার সংবিধান অনুযায়ি কমিটি নবায়নের নিয়ম থাকলেও তা ভঙ্গ করে গত ২৫-২৬ বছর যাবত একই পদে বহাল ছিল অভিযুক্ত।
এনটি