আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বর্তমান রেজিস্ট্রারের অপসারণ দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। এর পাশাপাশি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
বুধবার (১৯ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় কুবি উপাচার্য বরাবর পৃথকভাবে স্মারকলিপি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ। এসময় বর্তমান রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে তারা অবস্থা করেন।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৬ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা মোতাবেক ও আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ফেডারেশনের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের থেকে ‘রেজিস্ট্রার’ পদের দায়িত্বের দাবি জানানো হয় ওই স্মারকলিপিতে।
এতে আরও বলা হয়, অনেক সিনিয়র কর্মচারী পদোন্নতি না পেয়ে জুনিয়র হয়ে গেছে। কিন্তু জামায়াত-বিএনপির কর্মকর্তাদের পদে নিয়োগ প্রদান করে তাদের দ্রুত পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সখ্য গড়ে তুলে আওয়ামী পরিবারের সন্তানদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
তবে উপাচার্য দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার হোসাইন মোর্শেদ ফরহাদ বলেন, উপাচার্য দফতরে কোনো স্বারকলিপি দেওয়া হয়নি।
কর্মকর্তা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল লতিফ বলেন, কিছু দাবি-দাওয়াসহ কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার দেওয়ার বিষয়ে আমরা উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছি। তবে রেজিস্ট্রার রুমের সামনে অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার সঙ্গে রেজিস্ট্রারের কোনো সম্পর্ক নেই। কেন রেজিস্ট্রারের রুমের সামনে অবস্থান করেছে সেটা আমি জানি না।
এ বিষয়ে কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার অপসারণের দাবি জানিয়েছি। বর্তমান রেজিস্ট্রার গত চার বছর ধরে আমাদের কোনো দাবি দাওয়া পূরণ করেননি। দেড়-দুই বছর ধরে আমাদের ঘুরাচ্ছেন। আমাদের দাবি কর্মকর্তা থেকে রেজিস্ট্রার দিতে হবে।
তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দীপক মজুমদার বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে আমাদের পদোন্নতি ও নীতিমালা প্রয়োজনীয় সংশোধনে বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণের মাধ্যমে কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছেন। এই অসন্তুষ্টির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দায়ী বলে মনে করেন। আমাদের দাবি যদি তিন কর্মদিবসের মধ্যে মানা না হয় তাহলে চতুর্থ কর্ম দিবস থেকে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, তারা উপাচার্য বরাবর কিছু দাবি-দাওয়া নিয়ে স্বারকলিপি দিয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন। এখানে পদোন্নতি নীতিমালা সংক্রান্ত দাবি রয়েছে। এগুলো আমি উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনা করবো। এছাড়া তারা স্বারকলিপিতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন। মানহানিকর মন্তব্যের বিষয়ে আমি নিয়মানুযায়ী পদক্ষেপ নেব।
-এএ