আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: রাজধানীর সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে। এ আবেদন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৮ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সূত্র সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
মাউশি সূত্র জানিয়েছে, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের মতো এ বছরও বিদ্যালয় থেকে ভর্তি ফরম বিতরণ করা হচ্ছে না। তাই সবাইকে gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন ফি ১১০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া শেষে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। সরকারি স্কুলে ভর্তির লটারি ১৫ ডিসেম্বর এবং বেসরকারি স্কুলের লটারি হবে ১৯ ডিসেম্বর।
গত ১৬ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে ভর্তি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২২ সালের স্কুলে ভর্তি বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অবস্থিত সব সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন এবং এসএমএসের মাধ্যমে ভর্তির আবেদনপত্র পূরণ ও ফি প্রদান সংক্রান্ত কাজ করতে হবে।
বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে মাউশি। ঢাকা মহানগরের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে- ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটি শাখা থাকবে। এবার জাতীয়করণ হওয়া আরও দু’টি বিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে। এগুলোতে মাউশির অধীন কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় ভর্তির কাজ হয়। এবারও বিদ্যালয়গুলোকে তিনটি গুচ্ছ বা গ্রুপ (এ, বি এবং সি) করে ভর্তির কাজ হবে।
আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের পাঁচটি বিদ্যালয়ে ভর্তির পছন্দক্রম দিতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে। এছাড়া সারাদেশে আবেদনকারীর আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে থানাভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।
ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দু’টি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগরের বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে- প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে। এছাড়া আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে।
ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না। করোনা মহামারির কারণে গত বছর প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর আগে শুধু প্রথম শ্রেণিতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো।
দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হতো। নবম শ্রেণিতে ভর্তি করা হতো জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে।
-এএ