আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি শুক্রবার ইসলামাবাদে বলেন, দেশটির (আফগানিস্তান) আর কোনো বড় সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন নেই। আরা তাই সমস্ত প্রাক্তন আফগান জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর (এএনডিএসএফ) সদস্যকে পুনরায় নিয়োগ করা হবে না।
ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সাথে আলোচনার সময় মুত্তাকি বলেন, বিদেশির দ্বারা যে সেনাবাহিনী তৈরি হয়েছিল, আমাদের এত বড় সংখ্যার আর প্রয়োজন নেই।
তিনি আফগানিস্তানের ইসলামিক এমিরেটের কৌশল সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাব বলেন, আইইএ (ইসলামিক এমিরেটস অব আফগানিস্তান) যোদ্ধা এবং এএনডিএসএফ সদস্যদের একটি সামরিক বাহিনীতে একীভূত করা হবে। তিনি বলেন, তার দেশের একটি ছোট সেনাবাহিনীর প্রয়োজন যা 'বিশ্বস্ত, প্রতিশ্রুত এবং হৃদয়ে দেশপ্রেম প্রোথিত লোকদের দ্বারা গঠিত'।
মুত্তাকি বাণিজ্য রুট পুনরায় চালুসহ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনার জন্য এখন পাকিস্তানে। বৃহস্পতিবার তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও দেখা করেন। যারা আফগানিস্তানে 'ট্রইকা প্লাস' বৈঠকের জন্য পাকিস্তানে ছিলেন।
একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানের প্রতিক্রিয়ায় মুত্তাকি বলেন, বর্তমান প্রশাসন অন্তর্ভুক্তিমূলক, কারণ এতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোক রয়েছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আইইএকে বাধ্য করার চেষ্টা করছে, যা অন্য দেশে প্রচলিত নয়। আমরা তো কখনো মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনকে তাঁর মন্ত্রিসভায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পকে অন্তর্ভুক্ত করতে বলিনি।
নারী অধিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকে আইইএ একজন নারীকেও তার চাকরি থেকে বরখাস্ত করেনি। তবে নারী অধিকার প্রসঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের হেদার বার বলেন, সম্ভবত তারা কোনো নারীকে বলেনি যে আপনাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে তারা অবশ্যই অনেক, অনেক, অনেক নারীকে বলেছে যে তাদের কাজে আসা উচিত নয় এবং তাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কাজ করা উচিত নয়।
মুত্তাকি বলেন, আইইএ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের দেশের অভ্যন্তরে দূতাবাস খোলা আছে এবং আমাদের বিদেশে দূতাবাস আর প্রতিনিধি আছে। সূত্র: ইকনা
-এটি