আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘সাগর নন্দিনী-৩’ নামের একটি তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই ঘটনায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ গভীর দুঃখও প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) জ্বালানি বিভাগের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঝালকাঠির ঘটনায় পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (চুক্তি) শাহনেওয়াজ পারভেজের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত দিনের ভেতর কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জ্বালানি বিভাগ জানায়, ১০ নভেম্বর জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে জ্বালানি তেল বোঝাই করে ঝালকাঠি পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডিপোতে আসে। ওই ডিপোতে ডিজেল খালাস করার জন্য সুগন্ধা নদীর দক্ষিণপাড়ে অবস্থান করছিল জাহাজটি। সকালে ইঞ্জিনকক্ষের জেনারেটর চালু করলেই বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায়।
এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং জালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান পৃথক শোকবার্তায় নিহতের রুহের মাগফেরাত কামনা করে পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
জ্বালানি বিভাগ জানায়, এ ঘটনার পর পদ্মা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ডিজেল অক্ষত রয়েছে। তাছাড়া ট্যাংকার জাহাজটি বেসরকারি মাকিলাধীন। লোডিং পয়েন্ট থেকে আনলোডিং পর্যন্ত নিরাপদে তেল পরিবহনের দায়িত্ব জাহাজ কর্তৃপক্ষের বলেও জানান তিনি।
দুর্ঘটনার পর পরই জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী এবং পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জাহাজের তেল দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন।
জোহর আলী সাংবাদিকদের বলেন, দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। জাহাজে যারা ছিলেন, তাদের অনেকে গুরুতর আহত। জাহাজ থেকে যাতে দ্রুত তেল খালাস করা যায়, সে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের পৌর খেয়াঘাট এলাকায় সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে রাখা জাহাজটিতে দুর্ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে একজন নিহত হয়। দগ্ধ হয় অন্তত সাতজন।
-এএ