শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


রাজধানীতে তুরাগ-সহ যে ১৯৬টি বাস চলে গ্যাসে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ডিজেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে যাত্রীবাহী বাসের ভাড়াও বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সব বাসই ডিজেলে চলে না, রাজধানীর সড়কগুলোতে সিএনজিচালিত পরিবহনও চলাচল করে।

বাসে ওঠার পর অনেক যাত্রীর মনেই প্রশ্ন- যে বাসে চড়ছেন সেটি সিএনজি গ্যাস নাকি ডিজেলে চলে। কারণ সব বাসেই সরকার নির্ধারিত বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ তুলছেন যাত্রীরা। ভাড়া আদায়ের সময় যাত্রী ও বাস চালকদের মধ্যে বচসা শুরু হয়।

ঢাকা শহরে চলাচল করা ছয় হাজার বাস-মিনিবাসের মধ্যে মাত্র ১৯৬টি সিএনজিচালিত বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে সংগঠনটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করেন তিনি।

এনায়েত উল্যাহ বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে বাস-মিনিবাসের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বলা হচ্ছে, ঢাকা এবং দূরপাল্লার বাস-মিনিবাসের ৮০-৯০ শতাংশ সিএনজিচালিত। এসব বাসে বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় ১২০টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৩ কোম্পানির ১৯৬টি বাস সিএনজিচালিত পেয়েছি। এটি মোট গণপরিবহনের মাত্র ৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে চলাচল করা ১৩টি কোম্পানির পরিবহনগুলো হল-

গ্রেট তুরাগ ট্রান্সপোর্ট লি.-৪০টি বাস, অনাবিল সুপার লি. ৫টি বাস, প্রভাতী-বনশ্রী পরিবহন-১২টি, শ্রাবণ ট্রান্সপোর্ট লি.- ৩০টি, আসিয়ান ট্রান্সপোর্ট লি.- ২০টি, মেঘালয় ট্রান্সপোর্ট- ২৭টি, শিকড় পরিবহন-৮টি, বিকল্প অটো সার্ভিস- ১টি, গাবতলী লিংক মিনিবাস সার্ভিস- ১১টি ও ৬নং মতিঝিল বনানী কোচ লি.- ২১টি।

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত বুধবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটের তৃতীয় দিনে তাদের দাবি মেনে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। যার ফলে বর্ধিত ভাড়ায় পরিবহন চলাচলের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ