শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ভারতে জ্বালানি তেল পাচার বন্ধে মন্ত্রণালয়কে চিঠি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জ্বালানি তেল পাচার বন্ধে চিঠি দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।

বেশ কিছুদিন ধরে সরকার দাবি করে আসছিল যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে তেল পাচার হচ্ছে। ‍যদিও এ বিষয়ে সুনিদির্ষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি, তবে এ চিঠির ওপর ‍ভিত্তি করে বর্তমানে অনেকে ভাবছেন, এর সত্যতার বিষয়ে।

সাম্প্রতিক দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর অন্যতম কারণে হিসেবে ভারতে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়া বলে জানিয়েছিল সরকার। বাজারে ডিজেল এবং কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ার ফলসরূপ জনসাধারনের জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। একদিকে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম, অপরদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাবে গণপরিবহনের ভাড়া বেড়ে যাওয়া। সব মিলিয়ে বেড়েছে মূল্যস্ফিতি।

জ্বালানি বিভাগের সূত্র মতে, ভারত এবং বাংলাদেশের তেলের দাম উল্লেখ করে প্রতিবেশী দেশে তেল পাচার হওয়ার রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ওই চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

জ্বালানি বিভাগ বলেছে, পশ্চিমবঙ্গে ১০১ রুপিতে ডিজেল বিক্রি হচ্ছে, যার পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৪ টাকা। অর্থাৎ ভারতে এখনও ৪৪ টাকা বেশি মূল্যে ডিজেল বিক্রি হচ্ছে। ভারত ডিজেল থেকে বিপুল পরিমাণ মুনাফা করাতেই জ্বালানি তেলের এত বেশি মূল্য নির্ধারণ করেছে।

জ্বালানি তেল পাচারের বিষয়ে জ্বালানি বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তেলের দাম বাড়ার আগে ভারত এবং বাংলাদেশে ডিজেল বিক্রির দামে মধ্যে পার্থক্য ছিল ৫৯ টাকা। অর্থাৎ যদি এক লিটার ডিজেল ভারতে পাচার করতে পারে, তাহলে চোরাকারবারিদের ৫০ টাকার মতো লাভ হত। ভারতের সঙ্গে আমাদের বিস্তৃর্ণ এলাকার সীমান্ত রয়েছে এবং নানা রকম অবৈধ পণ্য এ পথে দিয়ে আসা-যাওয়া করে। ফলে তেলের ক্ষেত্রেও আমরা সতর্ক নজর রেখেছি।

সীমান্তের জেলাগুলোতে নজর রাখা হচ্ছে যাতে কেউ হঠাৎ করে বাড়তি তেল নিচ্ছে কি না। কোনো প্রকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া না গেলেও দেশের একেবারে সীমান্ত জেলাগুলো থেকে তেল না নিয়ে অন্য জেলা থেকেও তেল নিয়ে তা পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।

প্রতি বছর দেশে ডিজেলের চাহিদা রয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টন। এলপিজি এবং ফার্নেস অয়েল ব্যবহারের কারণে এর চাহিদা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। তবে বছর শেষ হওয়ার আগে গড় চাহিদা হ্রাসের কোনও চিত্র বের করা সম্ভব নয়। ফলসরূপ ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করা তেল পাচার হলে সরকারের বিপুল পরিমাণ লোকসান হবে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ