শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


সরকার ও পরিবহন মালিকদের নাটকে বলি সাধারণ মানুষ: ইসলামী আন্দোলন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: ডিজেল-কেরোসিনের মূল্য বৃদ্ধি ও পরিবহণ মালিকদের ধর্মঘট নাটকে সাধারণ মানুষ বলির শিকার হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (আইএবি) ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ।

তিনি বলেন, সরকার হঠাৎ করেই জ্বালানি তেল ও কেরোসিনের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে ফেলল। এরই প্রেক্ষিতে কোন কথা-বার্তা ছাড়াই দেশের সমস্ত গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে মালিকরা। আবার মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মঘটের ডাক দেয়নি। এদিকে সরকারের তরফ থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আবার জনগণের পকেট কাটা নিশ্চিত করে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা র্ধমঘট প্রত্যাহারও করেছেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেউ কিছুই করলেন না আবার সবাই সবই করলেন মাঝখান দিয়ে সরকার ও পরিবহন মালিকদের নাটকের বলি হয়েছে সাধারণ মানুষ।

আজ সোমবার ৮ নভেম্বর ২০২১ ইং তারিখে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের কার্যালয়ে আয়োজিত মাসিক বৈঠকে নগর সভাপতি আরও বলেন, দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রেক্ষিতে পরিবহন মালিকদের দাবির মুখে গণপরিবহনে নতুন করে ভাড়া নির্ধারণ করায় দূরপাল্লায় কিলোমিটার প্রতি যাত্রীকে বাড়তি ৩৮ পয়সা গুনতে হচ্ছে। এছাড়া বড় বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা, মিনিবাসে ৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া মহানগরে বাসের কিলোমিটারে ভাড়া বেড়েছে ৪৫ পয়সা। অর্থাৎ দূরপাল্লার বাসের ভাড়া ২৭ শতাংশ আর মহানগরে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভাড়া বাড়লো। জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে আরও দুর্বিষহ অবস্থার দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষকে।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি ও লুটপাটে নিমজ্জিত সরকার এ লভ্যাংশ কোনো জনবান্ধব কর্মসূচিতে ব্যয় করছে না। বরং মেগা প্রকল্পে বিনিয়োগের নামে লুটপাটের মহোৎসবে নেমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম না কমিয়ে আগে থেকেই সরকার জনগণের ওপর জুলুম করেছে। এখন নতুন করে মূল্যবৃদ্ধির অপকৌশল গ্রহণ করছে, যা জনগণ কোনোভাবেই মেনে নেবে না। করোনাকালে কর্মহীন হয়ে পড়া অধিকাংশ শ্রমিক এখনো চাকরিতে ফিরতে না পেরে পরিবার-পরিজনসহ মানবেতর জীবনযাপন করছে। একদিকে শ্রমজীবী মানুষের উপার্জন ও ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে, অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মাঝে হঠাৎ করেই ডিজেল-কেরোসিন ও এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়ছে। যার পুরো খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। দেশের খেটে খাওয়া মানুষের কথা বিবেচনা করে জ্বালানির বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার ও নিত্যপণ্যের দাম কমানো দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় বৈঠকে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারী মাওলানা আরিফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন (পরশ), অর্থ সম্পাদক ডা. মুজিবুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ