শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ইয়ে দারুল উলূম হাটহাজারী ছানী দারুল উলূম দেওবন্দ হ্যে: আল্লামা আরশাদ মাদানী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী।।
সিনিয়র শিক্ষক: দারুল উলুম হাটহাজারী

১৯৯৫ সাল। বাংলাদেশের উম্মুল মাদারিস দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শনে এসেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত প্রতিষ্ঠান দারুল উলূম দেওবন্দের তদানীন্তন মুহতামিম হযরত মাওলানা মারগূবুর রহমান ও দারুল উলূম দেওবন্দের স্বনামধন্য মুহাদ্দিস, শিক্ষাসচিব ও সাহেবজাদা আল্লামা সৈয়দ আরশাদ মাদানী হাফিযাহুল্লাহু তায়ালা।

হাটহাজারী মাদরাসার মাঠে বিশাল ইস্তেকবালিয়া (সংবর্ধনা) জলসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রাহ. লালখান বাজার মাদরাসা থেকে আমাকে ডেকে পাঠালেন।

খবর পেয়ে আমি খুবই দ্রুত হযরতের নিকট উপস্থিত হলাম। তিনি আমাকে বললেন; মাওলানা হারুন সাহেবে (আল্লামা হারুন চন্দ্রপুরি)র সাথে যোগাযোগ করে একটি উর্দু 'সেপাছনামা'-মানপত্র তৈরি করতে। হযরতের নির্দেশ মোতাবেক খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি মানপত্র তৈরি করলাম।

দারুল উলূম দেওবন্দের মুহতামিম মাওলানা মারগূবুর রহমানকে একনজর দেখার জন্য প্রায় লক্ষাধিক আলেম, তালেবে ইলমদের মিলনমেলা। মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন ফকীহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান রাহ., জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা হারুন ইসলামাবাদী রা., যুগশ্রেষ্ট সাহিত্যিক জামিয়া দারুল মা'আরিফের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আল্লামা সুলতান যওক নাদভী ও লালখান বাজার মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতী ইযহারুল ইসলাম চৌধুরী সহ আরো অনেকেই।

সভাপতির আসন অলংকৃত করেছিলেন হাটহাজারী মাদরাসার মহা পরিচালক আল্লামা আহমদ শফী রাহ.। হযরতেরই নির্দেশে আমার স্বহস্তে লেখা মানপত্রটি আমাকেই পড়তে হলো।

মানপত্রের ভাষা ও সাহিত্যের মান আমার মতে খুব একটা ভাল হয়নি কিন্তু উস্তাযে মুহতারাম আল্লামা আরশাদ মাদানী দা.বা. উর্দু ভাষায় লেখা মানপত্রের প্রশংসা করলেন এবং সেদিনই তিনি লক্ষাধিক মানুষের সামনে ঘোষণা দিলেন- ইয়ে; দারুল উলূম হাটহাজারী ছানি দারুল উলূম দেওবন্দ হ্যে; মানপত্রটি আমার সংরক্ষিত ফাইলপত্র থেকে তুলে দেয়া হলো।

-এটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ